অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, পুলিস ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি জায়গা সিল করে কন্টেইনমেন্ট জোন করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আক্রান্তদের সংস্পর্শে কারা কারা এসেছে, তার তালিকাও তৈরি করছে স্বাস্থ্যদপ্তর। তাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইন অথবা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হবে। এদিন সকালে যে ৮ জনের পজিটিভ এসেছে তার মধ্যে বর্ধমান শহরে একজন, কালনায় ৩ জন, মেমারিতে ২ জন, ভাতারে ১ জন এবং রায়না-২ ব্লকে একজন রয়েছেন। ওই ২ বছরের শিশুর বাড়ি ভাতারের কালিপাহাড়িতে। তার বাবা-মা আমেদাবাদে কাজ করতেন। সেখান থেকেই সন্তানকে নিয়ে তাঁরা ভাতারের বাড়িতে ফিরেছেন। অন্যদিকে, কালনায় যে তিনজনের করোনা ধরা পড়েছে তাঁরা তিনজনই মুম্বইয়ে কাজ করতেন। সেখান থেকেই কালনায় ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের বাড়ি কালনা-২ ব্লকের শাসপুরে এবং একজনের বাড়ি কালনা শহরের ছোটমিত্র পাড়ায়।
মেমারি-১ ব্লকের বিজরাতেও দু’জন পরিযায়ী শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের একজন চেন্নাই থেকে এবং অন্যজন রাজস্থান থেকে ফিরেছেন। বর্ধমান শহরের বেলপুকুর এলাকাতেও এক পরিযায়ী শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনিও আমেদাবাদ থেকে ফিরেছিলেন। এ নিয়ে বর্ধমান পুরসভা এলাকায় মোট তিনজন করোনায় আক্রান্ত হলেন। রায়না-২ ব্লকের আলমপুরেও একজন পরিযায়ী শ্রমিকের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তিনি দিল্লি থেকে ফিরেছিলেন। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এদিন সকালে ওই ৮ জন বাদে আরও একজনের রিপোর্ট পিজিটিভ এসেছে। তবে, তাঁর বাড়ি নদীয়ার নবদ্বীপে। এই জেলায় তাঁর নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল। অন্যদিকে, প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁদের কোনও উপসর্গ নেই তাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাঁদের বাড়িতেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার একটি নতুন গাইডলাইন এসেছে। তবে, সেটা মেডিক্যাল টিমই ঠিক করবেন। কারও বাড়িতে পৃথক জায়গা না থাকলে এলাকার স্কুলে কোয়ারেন্টাইন করেও রাখা যাবে। উপসর্গ দেখা দিলে তখন কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, আমরা প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছি। নতুন গাইডলাইনের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা এ পর্যন্ত সব আক্রান্তদের কোভিড হাসপাতালেই পাঠাচ্ছি। চেষ্টা করছি, সবাইকে কোভিড হাসপাতালেই পাঠানোর। প্রয়োজনে গাংপুরের প্রি-কোভিড হাসপাতালেও রাখা হবে। অন্যদিকে, পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (স্বাস্থ্য) রজত নন্দা বলেন, সকালে ৮ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। পরে আরও ১০ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।