অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
পশ্চিম বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক কস্তুরী বিশ্বাস বলেন, আমরা চলতি অর্থবর্ষে সরকারি প্রকল্পে কয়েক হাজার বাড়ি তৈরির অনুমোদন পেয়েছি। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
করোনা মহামারির জেরে লকডাউনের জন্য শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতিও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু মানুষ কাজ হারিয়ে বাড়িতে বসে রয়েছেন। গ্রামের দোকানগুলিও কার্যত মাছি তাড়াচ্ছে। দু’মাস ধরে নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ। তাই কনট্রাক্টর থেকে নির্মাণ শ্রমিক সবাই চিন্তায় রয়েছেন। নির্মাণ সামগ্রীর দোকানদার থেকে সিমেন্টের ব্যবসায়ী সবারই বাজার মন্দা যাচ্ছে। এই অবস্থায় ফের নতুন করে জেলায় শুরু হচ্ছে সরকারি বাড়ি তৈরির কাজ। যার জেরে বহু দরিদ্র মানুষের যেমন মাথার ছাদ হবে, তেমনই বর্তমান অবস্থায় বহু মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। নির্মাণ শ্রমিকরাও কাজ পাবেন। নির্মাণ সামগ্রী ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটবে। এই বাড়ি তৈরিকে কেন্দ্র করে কিছুটা ঘুরে দাঁড়াবে গ্রামীণ অর্থনীতি। এর আরও একটি সুবিধা রয়েছে। এই প্রকল্পে বাড়ি তৈরির জন্য একশো দিনের কাজে কিছু কর্মদিবসও সৃষ্টি করা যাবে। তারজেরেও বাড়তি অর্থের জোগান হবে গ্রামে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় মোট ৪ হাজার ৩১৩টি বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে অণ্ডালে ২৪১টি, বারাবনি ৩০৮, দুর্গাপুর-ফরিদপুর ৭২৭, জামুড়িয়া ১৮৭, কাঁকসায় ২ হাজার ২৯৪, পাণ্ডবেশ্বরে ১৮৭, রানিগঞ্জ ১১৩ এবং সালানপুর ব্লকে ২৫৬টি বাড়ি তৈরি হবে। ইতিমধ্যেই ৩০০ উপভোক্তার রেজিস্ট্রেশন হয়ে গিয়েছে। বাড়ির কাজও দ্রুত করা হচ্ছে। তিনটি পর্যায়ে টাকা পাবেন সমস্ত উপভোক্তা।
পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সচিব তাপস কুমার মণ্ডল বলেন, আমরা গত বছর প্রথমে ৫ হাজারের বেশি বাড়ি পেয়েছিলাম। কিন্তু সময়ে কাজ শেষ করায় আরও অতিরিক্ত প্রায় আড়াই হাজার বাড়ি পেয়েছিলাম। এবার যাতে বাড়তি বাড়ি তৈরির অনুমোদন পাওয়া যায় সেব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, সরকারি বাড়ি তৈরির প্রকল্পে বেনিয়মের বিস্তর অভিযোগ পাওয়া যায়। অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ ওঠে, বাড়ি তৈরি জন্য স্থানীয় নেতারা কাটমানি নিচ্ছে। কোথাও পাঁচ হাজার কোথাও ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এবার যেন এই বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে কাটমানি নেওয়া বা অনিয়মের কোনও ঘটনা না ঘটে তারজন্য প্রথম থেকেই সচেষ্ট প্রশাসন। তাদের দাবি, প্রথমেই বৈঠক করে বলে দেওয়া হবে, যাতে কোনওভাবেই কেউ এই প্রকল্প পাওয়ার জন্য কারও কাছে টাকা না দেন। এবার এই প্রকল্পে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ শুরুর ব্যাপারে তৎপর রয়েছে প্রশাসন। তবে দেশ তথা রাজ্যের এই বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে কিছু গরিব মানুষের মাথায় ছাদের ব্যবস্থা হওয়ায় খুশি সকলেই।