অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
ডব্লুবিএসইডিসিএলের তমলুকের রিজিওনাল ম্যানেজার শ্যামল হাজরা বলেন, প্রায় ১৫হাজার খুঁটি জেলায় চলে এসেছে। আমরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছি। পুরসভা এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার মুখে। এবার গ্রামীণ এলাকায় জোর দেওয়া হচ্ছে।
গত ২০মে উম-পুনের তাণ্ডবের পর থেকেই খেজুরি একেবারে বিদ্যুৎহীন। খেজুরি-১ ও ২ব্লকের দু’টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বিডিও অফিস, থানা প্রাঙ্গণ এখনও বিদ্যুৎহীন। আপাতত জেনারেটরই ভরসা। একই অবস্থা নন্দীগ্রামেও। নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, বিডিও অফিস, থানা চত্বর এবং টেঙ্গুয়ার আংশিক এলাকা ছাড়া গোটা নন্দীগ্রাম বিদ্যুৎহীন। কাঁথি-১ ও দেশপ্রাণ ব্লকেও বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা। কোলাঘাট, গোপালনগর সাপ্লাই এলাকায় পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার পথে। প্রতাপপুর সাপ্লাই এলাকায় কিছু এলাকা ছাড়া সর্বত্র বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার পথে। হলদিয়ার চৈতন্যপুর, বাসুদেবপুর, দেভোগ, ডিঘাসিপুর, বড়বাড়ি, শোভারামপুর এলাকা এখনও বিদ্যুৎহীন রয়েছে।
পটাশপুর এবং ভগবানপুর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকাতেও বিদ্যুৎ বিপর্যয় অব্যাহত। গ্রামীণ এলাকায় বহু জায়গায় এখনও বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। তমলুক, কাঁথি, এগরা এবং পাঁশকুড়া পুরসভা এলাকায় পরিষেবা সচল করা হয়েছে। হলদিয়ায় ৫০ শতাংশ এলাকায় বিদুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক। আগামী ৪৮ঘণ্টার মধ্যে শিল্পশহরে সর্বত্র বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার টার্গেট নিয়েছে বণ্টন সংস্থা।
তবে, উপকূল বরাবর রামনগর, কাঁথি, খেজুরি এবং নন্দীগ্রামের অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। খুঁটি ভেঙে পড়ায় এই মুহূর্তে বিপুল সংখ্যক ইলেক্ট্রিক পোস্টের প্রয়োজন। সংস্থার রিজিওনাল ম্যানেজারের দাবি, এখনও পর্যন্ত ১৫ হাজার খুঁটি চলে এসেছে। প্রায় আড়াই হাজার কর্মী কাজ করছেন। পুরসভা এলাকাকে স্বাভাবিক করার পর এবার লক্ষ্য গ্রামীণ এলাকা। তবে, নন্দীগ্রাম, খেজুরি এবং কাঁথির অনেক এলাকা এখনও বিদ্যুৎহীন। বিদ্যুৎ পরিষেবা না থাকায় বিস্তীর্ণ এলাকায় জলের সমস্যা হচ্ছে। এই মুহূর্তে পঞ্চায়েত ভিত্তিক জেনারেটর চালিয়ে জল সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু, অনেক জায়গায় জলের ট্যাঙ্ক উড়ে গিয়েছে। পিএইচই দপ্তর ৫০টি জেনারেটর ভাড়া করে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বসিয়েছে।
এদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উম-পুন বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসতে পারেন বলে জেলা প্রশাসনের কাছে ইঙ্গিত এসেছে। সেইমতো জেলাশাসক পার্থ ঘোষ হলদিয়ায় হেলিপ্যাড ভিজিট করে এসেছেন। দীঘায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও সেরে রাখা হচ্ছে। দপ্তর ভিত্তিক রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। সাইক্লোনের পর জেলায় ২লক্ষ ৫২হাজার বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে ব্লক প্রশাসন জেলাশাসকের অফিসে রিপোর্ট পাঠিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সেই সংখ্যাটা বেড়ে ৩লক্ষ ৩০হাজার হয়। এই মুহূর্তে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সংখ্যা চার লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।