Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ব্যয় করো, ঋণ করো, টাকার জোগান বাড়াও 

পি চিদম্বরম: প্রধানমন্ত্রী গত ১২ মে ২০ লক্ষ কোটি টাকার যে স্টিমুলাস প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন, গত সপ্তাহে আমি সেটার বিশ্লেষণ করেছিলাম। বিগত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী পাঁচ দফায় বিস্তারিতভাবে যে ঘোষণা করেছিলেন বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদরা পরে সেসব কাটাছেঁড়া করেছেন। তাঁদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হল যে, এই সর্বমোট আর্থিক প্যাকেজের ভিতরে ‘ফিসকাল স্টিমুলাস’-এর অংশ জিডিপি-র মাত্র ০.৮ থেকে ১.৩ শতাংশ। বিস্তারিত ব্রেক-আপ-সহ আমি দেখিয়েছিলাম যে, টাকার অঙ্কে ফিসকাল স্টিমুলাসের মোট পরিমাণ ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা, যা জিডিপি-ব ০.৯১ শতাংশের সমান। আমার দেওয়া এই সংখ্যাতত্ত্ব সরকারেরও কোনও পদাধিকারী খারিজ করে দেননি।
আসল পাপ
আলোচনাটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আগে, কোভিড-১৯-এর আঘাত ভারতের অর্থনীতিতে যখন এসে পড়ল, তখনকার পরিস্থিতিটা আমি দেখাতে চাই। টানা সাতটি ত্রৈমাসিকে (কোয়ার্টার) আমরা দেখলাম জিডিপি-র হার নিম্নমুখী। ভারতের অর্থনীতিতে এই জিনিস এর আগে কখনও হয়নি। ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) কোভিড-১৯-কে বিশ্বব্যাপী মহামারী (প্যানডেমিক) ঘোষণা করল। অর্থনীতির শোচনীয় অবস্থার দিক থেকে আমাদের নজর সেদিকে ঘুরে গেল। সরকার এখন করোনা মহামারীকেই দুষবে, কিন্তু সত্যিটা হল, সরকারের বিভ্রান্তিকর নীতিগুলিই এই তীব্র আর্থিক সঙ্কটের মূল কারণ।
লকডাউনের প্রথম সিদ্ধান্তটি অনিবার্যই ছিল। কারণ, মার্চে করোনা ভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণ আটকাতে একটিমাত্র ‘প্রতিষেধক’ আমাদের জানা ছিল—‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা’—যার মানে লকডাউন। বিকল্প কৌশল সামনে না-থাকায় সরকার একের পর এক লকডাউনে গিয়েছে। এই যে উপর্যুপরি লকডাউন হল, তাতে কী দেখলাম আমরা? একটি লকডাউন থেকে পরের লকডাউনে সুরাহা প্রাপ্তির পরিমাণ ক্রমশ কমে গিয়েছে—ইংরেজিতে যাকে বলে ডিমিনিশিং রিটার্নস। পাশাপাশি, এই ঘটনা থেকে মানুষের জন্য প্রকাণ্ড এক সঙ্কটও তৈরি হল।
প্রথম দফার লকডাউনের পর লাভালাভের বিচারে সরকার প্রমাণ করল যে তার প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ রয়েছে। প্রথম সুযোগে, তৃতীয় দফার লকডাউনের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী ন্যাশনাল টিভিতে উপস্থিত হওয়া থেকে নিজেকে বিরত করলেন, এবং চতুরভাবে দায়টা চালান করে দিলেন রাজ্য সরকারগুলির ঘাড়ে।
কিন্তু অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ যে রাজ্য সরকারগুলির হাতে নেই। কেন্দ্রীয় সরকার এখন যেন সার্বভৌম সম্রাটের মতো ক্ষমতা ভোগ করে। সরকারের যাবতীয় কর্তৃত্ব প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের (পিএমও) করতলগত। রাজ্যগুলির এমন অবস্থা করে দেওয়া হয়েছে যে, অর্থের প্রয়োজনে তারা কেন্দ্রের কাছে ভিক্ষাপাত্র নিয়ে হাজির হয়—আইনগত ও সাংবিধানিক অধিকারে প্রাপ্য অর্থের জন্যেও। লোক দেখানো ‘সহায়তা’র হাত প্রসারিত করেছে—ডিসকমদেরকে লিকুইডিটির (বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানিগুলিকে নগদের) সুবিধা দিয়ে, ঋণগ্রহণের ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি করে—কিন্তু এসবেও এমন সব কঠিন পূর্বশর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে যে কোনও রাজ্য সরকারের পক্ষেই সেসব পূরণ করা সম্ভব হবে না, ফলে চলতি অর্থবর্ষে এই টাকার সুবিধাও নিতে পারবে না তারা।
ভয়াবহ মন্দা
মন্দার মতো ভয়ঙ্কর শব্দটির দিকে যা আমাদের ঠেলে দিল। গত ৪০ বছরে ভারতকে কখনওই নেগেটিভ জিডিপি গ্রোথ বা নেতিবাচক অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়নি। মোদি সরকারই এই পার্থক্যটি তৈরি করে দিল, যদিও সরকার এর দায়টা মহামারীর ঘাড়ে চাপিয়ে পার পেতে চাইবে, কিন্তু মোদি সরকারই হল আসল পাপী। ডিমানিটাইজেশনের মতো চরম দিন, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর থেকে এই সরকার এত যে ভুলের পর ভুলের পাপ করেছে, তার সবকিছু মনে করার দরকার নেই।
মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীন, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স ও ব্রিটেন যে কৌশল বেছে নিয়েছিল, আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেটাই অনুসরণ করলেন। প্রথমেই একটি লকডাউন। তারপর পরীক্ষা, অসুস্থ মানুষজনকে খুঁজে বের করা, চিহ্নিতদের আলাদাভাবে রাখা এবং সংক্রামিতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর কলেবর বৃদ্ধি করা হল। এই সমস্ত পদক্ষেপে মিশ্র ফললাভ হল। সিকিম রাজ্যে একজনেরও সংক্রমণ ধরা পড়ল না, অন্যদিকে, মোট সংক্রমণের ৩৫ শতাংশ দেখা গেল মহারাষ্ট্রে। এর থেকে পরিষ্কার যে, এই ভাইরাস কোনও সীমানির্দিষ্ট পথ ধরে এগোয় না এবং এটা যেসব কারণে ছড়িয়ে পড়ে তার অনেকগুলিই এখনও অজানা।
তবুও মহামারীর অর্থনৈতিক পরিণাম ঠেকাতে বেশিরভাগ দেশ যে-পথ বেছে নিয়েছে, নরেন্দ্র মোদি তা অনুসরণ করার সুযোগ নেননি। প্রায় সমস্ত অর্থনীতিবিদ এই ব্যাপারে যে মডেলের পক্ষে সওয়াল করেছেন, তা হল ‘ফিসকাল স্টিমুলাস’। যার একটাই মানে: আরও ব্যয় করো। ২০২০-২১ সালের জন্য ব্যয়ের বাজেট বরাদ্দ ছিল ৩০ লক্ষ ৪২ হাজার ২৩০ কোটি টাকা। যে অর্থনীতির ক্রমশ অবনতি ঘটছে, সেটার জন্য এই অঙ্কটি যথেষ্ট ছিল কি না, তা এক তর্কসাপেক্ষ প্রশ্ন, কিন্তু যে অর্থনীতি ভীমরবে শূন্যের নীচে নেমে আসছে, কোনও সংশয় নেই যে অঙ্কটি তার জন্য মোটেই যথেষ্ট হবে না।
আমাদের দরকার নতুন বাজেট। গত ১ ফেব্রুয়ারি যে অনুমান করা হয়েছিল সেটা আজ আর প্রাসঙ্গিক নেই। আগামী ১ জুন সরকারকে অবশ্যই নতুন বাজেট পেশ করতে হবে। সেখানে ব্যয়ের অঙ্কটি অবশ্য করে ৪০ লক্ষ কোটি টাকা রাখতে হবে। বর্তমান সূত্রে রাজস্ব (কর, কর-বহির্ভূত এবং মূলধনী সংগ্রহ) সংগ্রহের পরিমাণটি ১৮ লক্ষ কোটি টাকা হতে পারে। বাকিটার জন্য আমরা অবশ্যই ঋণ নেব। ঋণগ্রহণের বাজেট এস্টিমেটটা ৭ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়ে যাবে ২২ লক্ষ কোটি টাকা।
শেষ সুযোগ
বছরটা যেভাবে গড়াচ্ছে, যদি তাতে ঋণগ্রহণ বা রাজকোষ ঘাটতির স্তর একটা অস্বস্তিকর অবস্থায় পৌঁছয়, তবে তার পরিণাম অন্যরকম হতে পারে—তখন রাজকোষ ঘাটতির একটি অংশকে মুদ্রাকরণে (মানিটাইজ) রূপান্তরিত করতে আমরা কোনওমতে দ্বিধা করব না—সোজা কথায় টাকা ছাপাব। ২০০৮/২০০৯ সালে অনেক দেশই এই পথে হেঁটেছিল এবং তার ফলে তাদের অর্থনীতি গভীর ও দীর্ঘমেয়াদি মন্দার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিল।
বিকল্পটি চিন্তা করতেও ভীষণ ভয় হয়। মন্দার অর্থ—ব্যাপক আকারে বেকারত্ব (বেকারত্বের হার ইতিমধ্যেই ২৪ শতাংশ), চাকরিপ্রার্থী যুবক-যুবতীদের কাজ পাওয়ার জন্যে দীর্ঘদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে, শ্রমিক কর্মচারীদের মজুরি বা বেতন এবং আয় কমে যাবে, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বা উপভোগ কমে যাবে, বেড়ে যাবে রোগভোগ বা রুগ্নতা এবং দারিদ্র্য।
২০২০-তে ভারতের যে ভাবমূর্তি গড়ে উঠবে তা হল—পরিযায়ী শ্রমিক—একজন কঠোর পরিশ্রমী মানুষ যিনি নিজের এবং একটি পরিবারের ভার বহন করেন। দারিদ্র্যসীমার ঠিক উপরেই তাঁর অবস্থান। এই মানুষটিকে হঠাৎ এমন নীচে নামিয়ে দেওয়া হল, যেখানে তাঁর চাকরিটা চলে গিয়েছে, হাতে-গাঁটে কোনও টাকাকড়ি নেই, মাথাগোঁজার মতো ঠাঁই নেই, নেই খিদে পেটের খাবারটুকুও। এই মানুষটিকেই বাধ্য করা হল কয়েকশো কিলোমিটার পথ হাঁটতে। কখনও আবার তিনি একা নন—সঙ্গে রয়েছে বাচ্চারা। তখন ‘ঘরে’ ফিরে যাওয়ার জন্যই মরিয়া তিনি—এমন মরিয়া যে হয়তো ঘরে ফেরার অর্থ শুধু মৃত্যুকেই বরণ করে নেওয়া।
মোদি সরকারের সামনে শেষ সুযোগটাই অবশিষ্ট। এই সরকার তার ‘উটপাখি’ নাম্নী ঘোড়ার পিঠ থেকে অবশ্যই এবার নামবে এবং ব্যয়, ঋণগ্রহণ ও মুদ্রাকরণে মন দেবে। অন্যথায়, ভারতের অর্থনীতিকে এক দশক পিছিয়ে দেওয়ার কারণে মানুষ এই মোদি সরকারকে কোনও দিন ভুলবে না বা ক্ষমা করবে না।
 লেখক: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী 
25th  May, 2020
ভাবুন, সুন্দরবন নেই আর উম-পুন
বয়ে গিয়েছে কলকাতার উপর দিয়ে!
হারাধন চৌধুরী

ভাঙা যায়নি অনুন্নয়নের ট্র্যাডিশন। সামান্য উন্নয়নেও তীব্র বৈষম্য। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা। চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যাও ক্রমবর্ধমান। পরিণামে কোটি কোটি মানুষ কাজের খোঁজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন শত শত মাইল দূরে—চরম অনিশ্চয়তা আর বিপদকে সঙ্গী করে। অন্যদিকে, সঙ্কীর্ণ রাজনীতির বোড়ে হয়ে উঠেছেন দেশবাসীর প্রায় সকলে।
বিশদ

‘আত্মসম্মান’ খ্যাত এক ভাঁড়ের রসিকতা
সন্দীপন বিশ্বাস 

অন্য দেশের রাজাদের মতো হবুরও আছে বিদূষক। অনেক বিদূষক তাঁর। তাঁদের তিনি ছড়িয়ে রেখেছেন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে। তাঁরা সেই সব রাজ্যের প্রপালক। তাঁদের কাজ হল মহারাজ হবুর মুৎসুদ্দি করা। আর নানা ধরনের মন্তব্য করে অঙ্গরাজ্যের জনগণকে আনন্দ বিতরণ করা।  বিশদ

27th  May, 2020
মানবিকতার উপর
বিশ্বাসটা যেন রাখতে পারি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

একটা ঝড়... যা পথে বসিয়েছিল সরযূ মণ্ডলকে। জানতেও পারেননি, কোথায় উড়ে গিয়ে পড়েছিল তাঁর ছাদটা। কিন্তু সে দুঃখ ছাপিয়ে গিয়েছিল এক অন্য আতঙ্ক... নির্জলা মরতে হবে না তো? জলেই তার বসত, অথচ সে জল মুখে দেওয়া যায় না... তেষ্টা মেটে না।   বিশদ

26th  May, 2020
মহামারীর সঙ্গে মহাপ্রলয়,
তবু বাংলা জিতবেই
হিমাংশু সিংহ

ইতিহাসের অন্যতম কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলা। আমাদের বঙ্গভূমি। দেশভাগ, মন্বন্তর, বন্যা, মহামারী কিছুই আমাদের জীবনীশক্তিকে নিঃশেষ করতে পারেনি। ভেঙে গিয়েও আবার ঠিক ঘুরে দাঁড়িয়েছি আমরা। নতুন ভোরের স্বপ্নে শুরু হয়েছে ফের পথ চলা।
বিশদ

24th  May, 2020
আত্মকেন্দ্রিক হোন,
কিন্তু স্বার্থপর নয়
তন্ময় মল্লিক

 করোনাকে নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে। হু-এর এই ঘোষণার পিছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে। চীন, জাপান, আমেরিকা, জার্মানি, ইতালি, ইজরায়েল যাই দাবি করুক না কেন, বাস্তবটা হল, করোনা ভ্যাকসিন নাগালের ধারেকাছে নেই।
বিশদ

23rd  May, 2020
করোনা প্যাকেজের অশ্বডিম্ব!
মৃণালকান্তি দাস

 প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটির বিলাসবহুল বিমানের খবরটাই গিলে খেয়ে নিয়েছে করোনা সঙ্কট! খবরটা কী? এতদিন বোয়িং ৭৪৭ বিমানে বিদেশ সফরে যেতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খুব শীঘ্রই এর জায়গা নিতে আসছে বোয়িং ৭৭৭।
বিশদ

22nd  May, 2020
সুযোগের সদ্ব্যবহারে
কতটা প্রস্তুত ভারত
হারাধন চৌধুরী

 জলে কুমির ডাঙায় বাঘের এমন জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত স্মরণকালের মধ্যে আমরা দেখিনি। শুধু বাংলা বা ভারত নয়, সারা পৃথিবীর জন্যই এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা। রোগ সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে সবাই ঘরের নিরাপদ কোণ বেছে নিলাম।
বিশদ

21st  May, 2020
আত্মনির্ভরতার স্টিকার
মারা ‘খুড়োর কল’
সন্দীপন বিশ্বাস

সুকুমার রায়ের ‘খুড়োর কল’ কবিতার সঙ্গে বাঙালির দীর্ঘদিনের পরিচয়। চণ্ডীদাসের খুড়োর সেই আজব কল ছিল একটা ভাঁওতা। ভালো ভালো খাবারের লোভ দেখিয়ে মানুষকে তা ছুটিয়ে মারত। মরীচিকার মতো অবাস্তব এবং বিরাট একটা ধাপ্পা ছিল ওই খুড়োর কল।
বিশদ

20th  May, 2020
গালভরা প্যাকেজ,
দেশ বাঁচবে তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 ঊষা জগদালে। মহারাষ্ট্রের বিদ জেলায় বাড়ি তাঁর। রোজ সকালে যখন পরিবারকে ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে ছেড়ে দরজার বাইরে পা রাখেন, তখনও ঠিকঠাক জানেন না, কোন বিদ্যুতের খুঁটিতে তাঁকে উঠতে হবে। তবে জানেন, কাজের চৌহদ্দির মধ্যে কোথাও সমস্যা হলে তাঁরই ডাক পড়বে।
বিশদ

19th  May, 2020
২০ লক্ষ কোটি টাকার রহস্য কাহিনী
পি চিদম্বরম

চলতি অর্থবর্ষে ৩০ লক্ষ ৪২ হাজার ২৩০ কোটি টাকা খরচ করার পরিকল্পনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ২০২০-২১-এর বাজেট পেশ করেছিল। ৭ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে রাজস্বের দিকের ঘাটতি মেটাবে সরকার।
বিশদ

18th  May, 2020
ছুটি শব্দটাই আজ অর্থহীন, মনের অসুখ ডেকে আনছে লকডাউন, প্রবীণদের সঙ্কট আরও তীব্র
হিমাংশু সিংহ

যে বাঙালি ছুটি পাগল, সেও দু’মাস ঘরে থেকে আজ যে-কোনও মূল্যে কাজে যোগ দিতে মরিয়া। লকডাউন যে কাজের সঙ্গে ছুটির রসায়নটাকেও এভাবে রাতারাতি বদলে দেবে, কারও কল্পনাতেও ছিল না। রবিবারের আলাদা কোনও গুরুত্ব নেই। লোকে বার ভুলে সবদিনকেই আজ শুধু লকডাউন বলে চিহ্নিত করছে। চার দেওয়ালের শৃঙ্খল আর ভালো লাগছে না কারও।
বিশদ

17th  May, 2020
এমনটা তো হওয়ার ছিল না
তন্ময় মল্লিক

 একটু বেশি রোজগারের আশায় ঘর ছেড়েছিলেন মালদহের রাজেশ মাহাত। গিয়েছিলেন ওড়িশায়। কিন্তু, ঘর তৈরির কাজে হাত দেওয়ার আগেই লকডাউন। রাজেশের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল। বুঝেছিলেন, সেখানে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে।
বিশদ

16th  May, 2020
একনজরে
জয়পুর, ২৭ মে: দেশে করোনার সংক্রমণের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে পঙ্গপালের হানা। ইতিমধ্যে পশ্চিমের রাজ্যগুলিতে হানা দিতে শুরু করেছে পঙ্গপালের ঝাঁক। লকডাউনের মধ্যে নয়া ...

নয়াদিল্লি, ২৭ মে: বিভিন্ন হোটেলের শ্রেণিবিন্যাস ও অনুমোদনের সময়সীমা ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করল পর্যটন মন্ত্রক। এই অনুমোদনের মেয়াদ থাকে পাঁচ বছর। মন্ত্রক জানিয়েছে, বর্তমানে আতিথেয়তা শিল্প একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এগচ্ছে। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে পঙ্গপালের হামলার কোনও সতর্কবার্তা এখনও জারি করেনি কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রক। কিন্তু, রাজ্য কৃষিদপ্তরের আধিকারিকরা বলছেন, উত্তর ও পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলির তুলনায় অনেক ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: লকডাউনে কাজ হারানো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সাড়ে আট হাজার মানুষকে প্রচেষ্টা প্রকল্পে মাথাপিছু ১০০০ টাকা দিল রাজ্য সরকার। লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘স্নেহের পরশ’ এবং কাজ হারানো দুঃস্থ মানুষদের জন্য ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্প ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৪২ - লন্ডনে প্রথম ইনডোর সুইমিংপুল চালু
১৮৮৩- স্বাধীনতা সংগ্রামী বিনায়ক দামোদর সাভারকারের জন্ম
১৯২৩- রাজনীতিক ও তেলুগু দেশম পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এনটি রামা রাওয়ের জন্ম
২০১০- পশ্চিমবঙ্গে জ্ঞানশ্বেরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় অন্তত ১৪১জনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৮৯ টাকা ৭৬.৬১ টাকা
পাউন্ড ৯০.৮৮ টাকা ৯৪.১২ টাকা
ইউরো ৮১.২৯ টাকা ৮৪.৩৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৮ মে ২০২০, বৃহস্পতিবার, ষষ্ঠী ৪৬/১৯ রাত্রি ১১/২৮। পুষ্যা নক্ষত্র ৬/১৬ দিবা ৭/২৭। সূর্যোদয় ৪/৫৬/১৭, সূর্যাস্ত ৬/১১/২০। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৩ গতে ৯/২ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ২/৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৩০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৫২ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৪ মধ্যে।
১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৮ মে ২০২০, বৃহস্পতিবার, ষষ্ঠী রাত্রি ৮/৫৩। পুষ্যানক্ষত্র প্রাতঃ ৫/৩৫ পরে অশ্লেষানক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৪৫। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪০ গতে ৬/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২ গতে ৯/১০ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ২/৬ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৪/৫৬ মধ্যে। কালবেলা ২/৫৪ গতে ৬/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১২/৫৫ মধ্যে।
৪ শওয়াল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
১৭৪২ - লন্ডনে প্রথম ইনডোর সুইমিংপুল চালু১৮৮৩- স্বাধীনতা সংগ্রামী বিনায়ক ...বিশদ

07:03:20 PM

লকডাউন নিয়ে মতামত জানতে প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ 

10:24:41 PM

গুজরাতে করোনায় আক্রান্ত আরও ৩৬৭ জন, মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫,৫৭২ 

09:18:00 PM

মহারাষ্ট্রে করোনা পজিটিভ আরও ২,৫৯৮ জন, মোট আক্রান্ত ৫৯,৫৪৬ 

08:49:48 PM

১৭ জুন শুরু হচ্ছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

08:41:00 PM

উম-পুন: সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি ফিরহাদ হাকিমের 
উম-পুন উত্তর কলকাতায় দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ ...বিশদ

07:33:14 PM