অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
এ ব্যাপারে চিকিৎসকদের দাবি, সত্যিই যদি কেউ ভাবেন, করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে খোলা বাজারের জ্বরের ওষুধ খেলেই ভালো হয়ে যাবেন, তাহলে তাঁরা ভুল করছেন। নিজেদের পরিবারকে সুস্থ রাখতে চিকিৎসকের কাছে রোগ গোপন করা বা এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের সময় জ্বর থাকা ব্যক্তিরা ওষুধ খেয়ে হয়তো সাময়িকভাবে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখছেন। কিন্তু, তাতে পরবর্তী ক্ষেত্রে তাঁদের আরও বড় সমস্যায় পড়তে হতে পারে। তাছাড়া জ্বর মানেই করোনা আক্রান্ত, এটা ভাবাও ভুল।
মঙ্গলবার মহারাষ্ট্র ফেরত খানাকুলের জগৎপুর এলাকার এক যুবক আরামবাগ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকে থার্মাল স্ক্রিনিং করাতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, লকডাউনের কারণে আমার মতো এরাজ্যের বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। দীর্ঘদিন আমরা ভিন রাজ্যে থেকে বাড়ি আসতে পারিনি। অবশেষে বাড়িতে আসার সরকারি ছাড়পত্র পেয়েছি। বাসে চেপে আরামবাগে ফেরার সময় রাস্তায় অন্তত ১৫ বার আমাদের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয়েছিল। সেই সময় শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকলে আমাদের চরম হয়রান হতে হতো। তাছাড়া আরামবাগে ফিরেও বাড়ি পৌঁছতে না পারার আশঙ্কা তো ছিলই। তাই বাধ্য হয়ে জ্বর থাকুক, আর নাই থাকুক ওষুধ খেয়েই স্বাস্থ্য পরীক্ষার লাইনে দাঁড়াচ্ছি।
আরামবাগ শহরের বাসিন্দা সাদ্দাম শেখ বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে প্রতিদিনই ভিন রাজ্য থেকে পাঁচ থেকে সাতটি বাস আরামবাগ শহরে ফিরছে। প্রথম দিকে ওই বাসগুলি সরাসরি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকের সামনে শ্রমিকদের নামাত। কিন্তু, এখন শহরের বাসস্ট্যান্ড, নেতাজি স্কয়্যার এলাকায় শ্রমিকদের নামানো হয়। এরপরই বহু শ্রমিক হাসপাতলে যাওয়ার আগে রাস্তার পকেট থেকে জ্বরের ওষুধ বের করে দু’-তিনটে একসঙ্গে খেয়ে নিচ্ছেন। তাঁরা নিজেরাই বলাবলি করছেন, যদি থার্মাল স্ক্রিনিংয়ে জ্বর ধরা না পড়ে তাহলে অন্তত বাড়ি ফেরা নিশ্চিত হবে।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনই পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভিড় লেগে থাকছে ফিভার ক্লিনিকে। এছাড়া ব্লক ও গ্রামীণ হাসপাতালগুলিতেও এখন থেকে স্যালাইভা টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। যদিও হাই রিস্কজোন হিসেবে মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও গুজরাত থেকে ফেরা শ্রমিকদেরই করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।