অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
এসবিএসটিসির এমডি গোদালা কিরণ কুমার বলেন, বুধবার থেকেই বিভিন্ন জেলায় বাস পরিষেবা চালু হচ্ছে। আমরা কয়েকটি শহরের মধ্যেও বাস পরিষেবা চালু করব যাতে যাত্রীদের সমস্যা লাঘব হয়।
দীর্ঘ লকডাউনের গেরো কাটিয়ে সরকারি বাসের মাধ্যমেই সড়ক পরিবহণ সচল হতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গে। চতুর্থ দফায় লকডাউন শুরুর পর শর্তসাপেক্ষে বেসরকারি বাস পরিষেবা চালু করার আর্জি জানিয়েছিল সরকার। কিন্তু ভাড়া না বাড়িয়ে মিনিবাসের ক্ষেত্রে ১৪ জন ও বড় বাসের ক্ষেত্রে ২০ জন যাত্রী নিয়ে বাস চালানো সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছিল বাস মালিক সংগঠনগুলি। এই অবস্থায় পরিবহণ সচল করতে সরকারের অধীনে থাকা পরিবহণ সংস্থার বাসের উপরই ভরসা করতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। সেই মতো বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের বহু রুটে বাস পরিষেবা চালু করছে এসবিএসটিসি। তার মধ্যে যেমন দুর্গাপুর থেকে বহরমপুর, সিউড়ি, রামপুরহাট, বাঁকুড়া, কলকাতা, করুণাময়ী থাকছে। তেমনই মেদিনীপুর থেকে বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, দীঘা, আসানসোল থেকে পুরুলিয়া, বর্ধমান, দুর্গাপুর, কলকাতা এবং বর্ধমান থেকে কালনা, কৃষ্ণনগর বেনাচিতি সহ বহু রুটে বাস চালু হতে চলেছে। কিন্তু সবচেয়ে তৎপর্যপূর্ণ বেশ কিছু শহরেও কাল থেকে টাউন সার্ভিস চালু করে দিচ্ছে সংস্থা। টাউন সার্ভিস চালু করার পরিকল্পনা বহুদিন আগে থেকেই ছিল সংস্থার। এবার লকডাউনে বেসরকারি বাসের অনুপস্থিতিতে তা শুরু হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে দুর্গাপুরের ক্ষেত্রে দুর্গাপুর প্রান্তিকা(এইটবি রুট), দুর্গাপুর-বেনাচিতি, দুর্গাপুর মেন হাসাপাতালের তিনটি রুটে দুটি করে বাস চালু হচ্ছে। আসানসোলের ক্ষেত্রে আসানসোল স্টেশন থেকে আসানসোল কোর্ট, আসানসোল স্টেশন থেকে বার্নপুর, চিত্তরঞ্জন বাস পরিষেবা চালু হবে। বর্ধমান শহরের ক্ষেত্রে নবাবহাট থেকে উল্লাস, নবাবহাট-মিস্টিহাব, নবাবহাট-পূর্তভবন বাস পরিষেবা চালু করছে এসবিএসটিসি। প্রতিটি রুটেই দুটি সময়ে বাস যাতায়াত করবে। এছাড়াও দীঘা-কাঁথি, দীঘা-নন্দকুমার, হলদিয়া-মেচেদার মতো ছোট রুটেরও বাস পরিষেবা চালু হচ্ছে। মোট ৮৩টি রুটে বাস চলবে। বিষয়টি নিয়ে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে নিত্যযাত্রীদের মধ্যে। বর্তমানে বিভিন্ন অফিস, কারখানা চালু হওয়ায় তীব্র গরমে রোদে পুড়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে চাকরিজীবীদের। ব্যবসায়ীদেরও সামগ্রী আনতে ভরসা করতে হচ্ছে নিজের গাড়ির উপরই। বাস চালুর খবরে তাঁরা খুশি।
আসানসোলের বাসিন্দা রমেশ পাল বলেন, দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি কারখানায় কাজ করি। বাস না থাকায় বাইকে যাতায়াত করতে অনেক খরচ হচ্ছে।
যদিও আসানসোল সাব ডিভিশন বাস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি সঞ্জয় সেনগুপ্ত বলেন, মিনি ও বড় বাস মিলে আমাদের এখানে প্রায় ২৭০০ কর্মী আছে। আমরা কি তাহলে আত্মহত্যা করব? পেটের টান পড়লে তো আন্দোলন হবেই। অন্যদিকে আসানসোল মিনি বাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদীপ রায় স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন আসানসোলে নতুন কোনও বাস নামানো যাবে না বলে আইন রয়েছে। দুর্গাপুর প্যাসেঞ্জার ক্যারিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কাজল দে, দুর্গাপুর সাব ডিভিশন মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অলোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, পেশায় টান পড়লে প্রতিবাদ তো হবেই।