অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দা তথা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি বৈদ্যনাথ দাস বলেন, ওই গ্রামের তিনদিকে নদী থাকার কারণে বাসিন্দাদের একটিমাত্র রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। সেই রাস্তার উপর পুলিস ও স্বাস্থ্যদপ্তরের লোকজন নজরদারি চালাচ্ছেন। ওই গ্রাম থেকে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক কম। কাজেই মানুষজনের অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
ভরতপুর-১ ব্লক প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, যে তিনজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই মুম্বই থেকে ফিরেছেন। একজন মুরগির মাংস কাটার কাজ করতেন। বাকি দু’জন রাজমিস্ত্রির জোগানদার হিসেবে কাজ করতেন। তাঁরা আক্রান্ত হওয়ার পর সেখানে ব্লক প্রশাসন, পুলিস ও স্বাস্থ্য দপ্তরের লোকজন গ্রামে গিয়ে এলাকা কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করে। মাঠের দিকে এক আক্রান্তের বাড়ির কাছাকাছি ৬টি পরিবারকে একসঙ্গে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়। বাকি দুই আক্রান্তের বাড়ির আশপাশের ১৯টি পরিবারকে একসঙ্গে রেখে কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে। সেখানেও ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। প্রায় ১৫০জন বাসিন্দা ওই জোনে রয়েছেন। সেখান থেকে কাউকে বেরতে বা ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পরিবারগুলির খাদ্য, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করছে পুলিস ও কয়েকজন যুবক।
ভরতপুর-১ ব্লকের বিডিও অঞ্জন চৌধুরী বলেন, ওই গ্রামকে সিল করে ২৫টি পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। আক্রান্তদের পরিবার থেকে যাতে কোনওভাবে সংক্রমণ না ছড়িয়ে পড়ে সেদিকে নজর দেওয়া হয়েছে। ভরতপুর থানার পুলিস জানিয়েছে, গ্রামে ২৪ঘণ্টার জন্য পুলিস পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারণ ছাড়া গ্রামে কারও আনাগোনা বন্ধ করা হয়েছে।