অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
রাজনৈতিক মহলের মতে, ত্রাণ ও ত্রিপল বণ্টনে যাতে কোনও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ না ওঠে, সেজন্যই মন্ত্রী ভলান্টিয়ারদের নিযুক্ত করেছেন। সরাসরি দুর্গতদের হাতে ত্রাণ পৌঁছে দিতেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে, শুভেন্দুবাবু বলেন, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত চিহ্নিত করে তাঁদের হাতে দ্রুত ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্যই স্বেচ্ছাসেবকদের কাজে লাগানো হয়েছে। তিনি বলেন, সাইক্লোনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার জন্য রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল দল সর্বাত্ম চেষ্টা চালাচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে আমিও সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। এত বড় দুর্যোগ মোকাবিলায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
প্রসঙ্গত, উম-পুন আছড়ে পড়ার সতর্কবার্তা পাওয়ার সময় থেকেই শুভেন্দুবাবু দীঘায় কন্ট্রোল রুম খুলে পরিস্থিতির উপর নজর রেখে গিয়েছেন। ২০মে সকাল থেকেই মন্ত্রী দীঘায় সেচদপ্তরের ইন্সপেকশন বাংলোয় ছিলেন। দুপুরে প্রবল ঝড়ের মধ্যেই তিনি সমুদ্রের ধারে সৈকত আবাসে যান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ফোন করে খোঁজখবর নেন।
দীঘা থেকে শুভেন্দুবাবু নন্দীগ্রামে গিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে পুলিস ও প্রশাসনের অফিসারদের উদ্ধারকাজে ঝাঁপানোর নির্দেশ দেন। পাশাপাশি নিজে করোনা আবহের মধ্যেই নন্দীগ্রাম, হলদিয়ার বিভিন্ন দুর্গত এলাকায় ঘুরে মানুষজনের সঙ্গে কথা বলছেন। দুর্গতদের কাছে ত্রাণ ও ত্রিপল পৌঁছে দেন। তাঁরই উদ্যোগে সাইক্লোনে মৃত ছ’জনের পরিবারকে সতীশ সামন্ত ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের পক্ষ থেকে দু’লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
এই মুহূর্তে দুর্গতদের কাছে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়াই অগ্রাধিকারের তালিকায় পড়ে। সেই কাজটি দল, রং না দেখে করাই জরুরি। তাই শুভেন্দুবাবু কলেজ পড়ুয়াদের মাধ্যমেই প্রকৃত দুর্গতদের চিহ্নিত করে তাঁদের কাছে ত্রিপল পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। বিপর্যয়ের সময় দলের ঊর্ধ্বে উঠে প্রকৃত জনপ্রতিনিধির ভূমিকা শুভেন্দুবাবু পালন করতে চাইছেন বলে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছে।