অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে বীরভূমে হাজার হাজার শ্রমিক ভিনরাজ্য থেকে ফিরেছেন। তবে শুধু শ্রমিকই নন, ভিনরাজ্যে চিকিৎসা বা অন্যান্য কাজে যাওয়া ব্যক্তি যাঁরা আটকে পড়েছিলেন তাঁরাও ফিরেছেন।
জেলা প্রশাসনের দাবি, সেইসব ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় কিয়স্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই কিয়স্কে তাঁদের লালারস সংগ্রহ করে তা পাঠানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে বহু রিপোর্ট এসেছে। তাতে পজিটিভের সংখ্যা নিয়েও উদ্বেগ বেড়েছে। এমন অবস্থায় ভিনরাজ্য থেকে ফেরা ব্যক্তিদের উপর কড়া নজরদারির জন্য একাধিক ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। এক্ষেত্রে প্রত্যেক গ্রামে নজরদারির জন্য পাঁচজনের দল গঠন করা হচ্ছে।
ওই দলে একজন করে সিভিক ভলান্টিয়ার, আশাকর্মী, ভিলেজ রিসোর্স পার্সন, স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও সংশ্লিষ্ট সংসদের পঞ্চায়েত সদস্য থাকবেন। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচজনের কমিটিকে নিয়ে প্রত্যেকটি ব্লকেই একটি করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট গ্রামে কোনও পরিযায়ী শ্রমিক ফিরলে তাঁদের উপর সর্বক্ষণ নজরদারি রাখার পাশাপাশি কোনও খবর আদান-প্রদানের জন্য ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ব্যবহার করা হবে। তাছাড়া ব্লক পর্যায়ে বিডিও, থানার ওসি বা আইসি, বিএমওএইচদের নিয়েও কমিটি রয়েছে। গ্রামস্তরের কমিটি ব্লক পর্যায়ের আধিকারিকদের সেই খবর জানাবেন। এক্ষেত্রে যে কোনও সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা নেবেন।
প্রসঙ্গত, জেলায় ফেরা বহু পরিযায়ী শ্রমিক কিছুদিন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকার পর যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে পরে তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এলে সংস্পর্শে আসা বহু ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হয়েছে। ফলে প্রশাসনকে আরও বেশি বিপাকে পড়তে হয়েছে। তাই যাতে হোম কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম কেউ লঙ্ঘন করতে না পারেন সেইজন্য পাঁচজনের বিশেষ টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে।
সিউড়ি-১, রাজনগরের বিডিও শিবাশিস সরকার, অলক মৌলিক বলেন, পাঁচজনের কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের এক্ষেত্রে নজরদারি রাখা হচ্ছে। তাছাড়া গ্রামের বাসিন্দারাও প্রথমদিকে নিজেদের উদ্যোগে স্কুলভবনে রাখার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন।
তবে ওই পাঁচজনের কমিটি নজর রাখছেন কি না তা কীভাবে দেখা হবে? এব্যাপারে দুবরাজপুরের বিডিও অনিরুদ্ধ রায় বলেন, প্রত্যেক পঞ্চায়েত প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করে এব্যাপারে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তরফেও বলা হয়েছে। আশা করি এর ভালো ফল পাওয়া যাবে।
সিউড়ির কেন্দুয়া পঞ্চায়েতের প্রধান নারায়ণ বাগদি বলেন, আমরা যে কোনও খবর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রশাসনকে জানাচ্ছি। একইভাবে তৃণমূলের সংশ্লিষ্ট বুথ সভাপতিদেরও নজরদারির জন্য বলা হয়েছে।