বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। কাল, বৃহস্পতিবার জামাইষষ্ঠী। অন্যান্য বছর এই বিশেষ দিনের দিনকয়েক আগে থেকেই জামাকাপড় থেকে শুরু করে ফল, মিষ্টি কেনার হিড়িক পড়ে যায় আমবাঙালির মধ্যে। জামাইদের খাতিরযত্ন করার জন্য বাজারে ভিড় জমান শ্বশুর-শাশুড়িরা। জামাইরাও শাশুড়ির জন্য উপহার কেনেন। কিন্তু এবার লকডাউনে এক জেলার সঙ্গে অন্য জেলার যোগাযোগের গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় গোটা পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। ভিন জেলা বা রাজ্য থেকে কোনও জামাইয়ের শ্বশুরবাড়ি পৌঁছনোর সম্ভাবনা কম। সংক্রমণের আশঙ্কায় বাড়ি থেকে বেরনো বারণ। ফলে কার্যত মনমরা বিক্রেতারা। রানাঘাটের শচীনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে-জামাই থাকেন কলকাতায়। তিনি বলেন, কলকাতা এখন রেড জোন। সেখান থেকে অরেঞ্জ জোনে আসা কার্যত অসম্ভব। তাই এবছর জামাইষষ্ঠীর আয়োজন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরে দেখা যাবে।
চতুর্থ দফার লকডাউনে দোকান খোলার বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার শিথিলতা আনায় রানাঘাট মহাকুমার বেশিরভাগ এলাকাতেই সকালের দিকে হোটেল এবং শপিংমল ছাড়া বেশিরভাগ দোকান খোলা থাকছে। তবে সন্ধ্যার পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সব দোকান। ব্যবসায়ীদের দাবি, দোকান খোলা থাকলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান ছাড়া মানুষজন অন্য দোকানের দিকে পা বাড়াচ্ছেন কম। ফলে দোকান খুলেও ক্রেতার আশায় ঠায় বসে থাকা ছাড়া অন্য কোনও পথ পাচ্ছেন না দোকানিরা। শান্তিপুর বড়বাজার এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী শান্তি বসাক বলেন, এভাবে চলতে থাকলে দোকান খুলে লাভ করা তো দূরের কথা, পেটের ভাত জোগাড় করা সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। আর কতদিন এভাবে বসে থাকতে হবে জানা নেই। একই অবস্থা রানাঘাট, তাহেরপুর, বীরনগর এলাকার জামা-কাপড়ের ব্যবসায়ীদের। বেশিরভাগ ব্যবসায়ী সাধারণত চৈত্রসেলের কিছুটা আগে থেকে বাজার থেকে মোটা অঙ্কের সুদে লোন নিয়ে জামাকাপড় দোকানে মজুত করেছিলেন। কিন্তু চৈত্র সেলের বাজার এবছর হয়নি। সেইসময় সমস্ত বাজার বন্ধ ছিল। ফলে চরম ক্ষতির আশঙ্কা করছিলেন কাপড় ব্যবসায়ীরা। তাঁদের আশঙ্কা সত্যি করে চৈত্রসেলের সঙ্গে বৈশাখের বিয়ের বাজার, ঈদের বাজার, জামাইষষ্ঠীর বাজারের একই অবস্থা হয়েছে। তাঁদের অনেকের পুজোর বাজারের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। একই অবস্থা ফুল, ফল, দশকর্মা, মিষ্টির সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। রানাঘাটের রেলবাজার সংযুক্ত ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি পিন্টু সরকার বলেন, প্রতিদিন সকালে সব দোকান খুলে যাচ্ছে। অনেকে লকডাউন না মেনে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়া অন্যান্য দোকানে ক্রেতা সেভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। লকডাউনের জেরে কয়েকটি ব্যবসা বাদে বেশিরভাগের অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছে।