কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
শান্তিপুর ব্লকের বাবলা পঞ্চায়েতের বাথনা এলাকায় হিমসাগর আমের চাষ হয়। এই এলাকার বহু চাষি আম চাষের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এখান থেকে আম কলকাতা সহ বিভিন্ন এলাকায় যায়। কয়েকদিনের মধ্যেই পাকার কথা ছিল। কিন্তু তার আগে ঝড়ে বিপুল পরিমাণ কাঁচা হিমসাগর আম পড়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। এলাকার আমচাষি জীবন দে সরকার বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে আমার প্রায় ১০০টি আমগাছ থেকে বেশ কয়েক কুইন্টাল আম মাটিতে পড়ে গিয়েছে। মাত্র দু’টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছি। লকডাউনে এমনিতেই ক্ষতির মধ্যে রয়েছি আমরা, তার উপর এই ঘূর্ণিঝড়ে একেবারে শেষ হয়ে গেলাম। একই সমস্যার কথা বলেন এখানকার আম চাষি সাধু দুর্লভ, প্রতাপ বিশ্বাস। অন্যদিকে, রানাঘাট-২ ব্লকে রজনীগন্ধা, গাঁদা, গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, এস্টার, বেবি, জারবেরা, গ্লাডিওলাস সহ বিভিন্ন রকমের ফুলের চাষ হয়। ঘূর্ণিঝড়ে ফুল চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পুরাতন চাপড়া এলাকার জারবেরা ফুল চাষের জন্য লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে তৈরি পলি হাউসের শেড ঝড়ে উড়ে গিয়েছে। বহু ফুলের গাছ মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। এই এলাকায় নোকারি এবং ধানতলায় দু’টি বড় ফুলের বাজার বসে। সেখান থেকে ফুল এরাজ্য সহ বাইরে যায়। লকডাউন পরিস্থিতিতে এমনিতেই ফুল ব্যবসায় মন্দা চলছে। তার উপর এই ঘূর্ণিঝড়ে ফুলচাষিদের দিশেহারা অবস্থা। ফুল চাষি অরূপ বিশ্বাস, শ্যামল বিশ্বাস বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে আমাদের ক্ষতি হয়ে গেল। ঝড়ে ফুলের দামি শেড নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সরকার যেন আমাদের দিকে একটু নজর দেয়।