কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
কংসাবতী নদীতে জল কম থাকার কারণে এতদিন কঙ্কাবতী ঘাটের কাছে মাটি দিয়ে উঁচু করে বালির গাড়ি যাওয়ার রাস্তা করা হয়েছিল। খাদান থেকে বালি তুলে ওই রাস্তা দিয়ে তা নিয়ে যাওয়া হতো। উম-পুনের দাপটে রাতারাতি কংসবতী নদী ফুলেফেঁপে ওঠে। জলের তোড়ে মাটির তৈরি সেই অস্থায়ী রাস্তা কিছুটা ভেঙে যায়। সেখান দিয়ে নদীর জল প্রবল বেগে বের হতে থাকে। সেখানেই গত দু’দিন ধরে জাল ফেলে মাছ ধরা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে কয়েকজন এসে নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরা শুরু করেন। স্থানীয় লোকজন নদীর পাড়ে বসে মাছ ধরা দেখছিলেন। চার-পাঁচ কেজি, এমনকী তার বেশি ওজনের মাছ উঠতে থাকে। সেই খবর দাবানলের মতো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। বেলা কিছুটা বাড়তেই কাতারে কাতারে লোকজন এসে নদীতে নেমে মাছ ধরতে শুরু করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নন্দ ভালুক বলেন, আমার নদীর ধারেই বাড়ি। এমনিতেই জল বাড়লে নদীতে মাছ আসে। কিন্তু, এতবড় রুই-কাতলা আসতে আমি আগে কখনও দেখিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মাছ ধরা চলে। শুক্রবার সকাল থেকেই হাজার তিনেক মানুষ মাছ ধরতে নেমে পড়েন। বিকেলের দিকে ভিড় কিছুটা কমে। মুখে মাস্ক তো দূরের কথা, গাদাগাদি করে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে লোকজন মাছ ধরছেন। প্রথম দিন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বাবাই মাঝি এসে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাছ ধরার কথা বলেছিলেন। কিন্তু, কেউ সে-কথা শোনেননি। এদিনও সেই একই ছবি।
পঞ্চায়েত সদস্য বাবাই মাঝি বলেন, কংসাবতী নদীর ওপারে ঝাড়গ্রাম জেলা। ওই জেলার আমদই, বুটরা, খালশিউলি, বড়শোল গ্রামের বাসিন্দারাও এসে মাছ ধরছেন। বড় বড় জাল নিয়ে আসছেন সকলে। বৃহস্পতিবার প্রায় পাঁচ কুইন্টাল মাছ উঠেছে। আমি নিজে গিয়ে সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রেখে মাছ ধরার কথা বলেছিলাম। কিন্তু, তা নিয়ে আমার সঙ্গে ওঁদের বচসা বেধে যায়। আসলে বড় মাছ পাওয়ায় লোভেই সকলে এভাবে ভিড় করছেন।