কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
জেলা উদ্যান পালন আধিকারিক কুশধ্বজ বাগ বলেন, ব্লকে ব্লকে ঘুরে আমাদের দপ্তরের কর্মীরা ক্ষয়ক্ষতির হিসেব নিচ্ছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রমাপ্রসাদ গিরি বলেন, প্রাথমিকভাবে ক্ষতির রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এখনও বিভিন্ন ব্লক থেকে রিপোর্ট আসছে। ফলে, ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। সমস্ত বিষয়টি রাজ্য সরকারকে জানানো হবে।
উদ্যান পালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝড়ের দাপটে জেলায় ১০ হাজার ৭৮০জন চাষির সব্জি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গড়বেতা-১, মোহনপুর এবং দাঁতন-১ ব্লকেই ক্ষতির পরিমাণ সব থেকে বেশি। এছাড়া জেলার অধিকাংশ ব্লকেই কমবেশি ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জেলায় সব্জিচাষে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪০ কোটি টাকা। গড়বেতা-১ ব্লকের নাচনজাম গ্রামের সব্জিচাষি সঞ্জয় নায়ক বলেন, দু’বিঘা জমিতে আমি চাষ করেছিলাম। ঝিঙে, শসা, কুন্দরি, পটল এবং লাউ চাষ করেছিলাম। এই এলাকায় মাচা তৈরি করে সব্জি চাষ করা হয়। ঝড়ের দাপটে মাচা ভেঙে সব গাছ মাটিতে পড়ে গিয়েছে। জমিতেও জল জমে গিয়েছে। কিছুটা জল বের করেছি। এখনও জল রয়েছে। কতটা ফসল ঘরে তুলতে পারব, তা নিয়ে চিন্তাই রয়েছি।
এই জেলায় পিংলা, সবং, দাঁতন-১ ও ২, মোহনপুর ব্লকে ভালো পান চাষ হয়। উম-পুন এই সব ব্লকে পানের বরজ কার্যত ধ্বংস করে দিয়েছে। জেলার বিভিন্ন ব্লক মিলিয়ে ৪৬২৪ জন পানচাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সবংয়ের মোহার গ্রামের পানচাষি বিশ্বনাথ খাটুয়া বলেন, আমার দু’টি পানের বরজ রয়েছে। একটি ছ’কাঠা জমির উপর, অন্যটি চার কাঠা। গত মাসের ১৮ তারিখ ঝড়বৃষ্টিতে পানের বরজটি হেলে পড়েছিল। মজুর লাগিয়ে কোনও রকমে ঠিক করেছিলাম। এবারের ঝড়ে সব শেষ করে দিল। চার কাঠার বরজটি পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে। পানগাছ সবই মাটিতে মিশে গিয়েছে। অন্য বরজটির আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে, জেলায় আম চাষেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের দাপটে অধিকাংশ ব্লকেরই আম পড়ে গিয়েছে। কলাগাছ ভেঙে গিয়েছে। জেলায় প্রায় সাত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আর ফুলচাষে প্রায় ২০০০ চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। ডেবরা ব্লকের দাবাদারী গ্রামের ফুলচাষি মণীন্দ্রনাথ সামন্ত বলেন, আমি ১৮ কাঠা জমিতে রজনীগন্ধা ফুলের চাষ করেছি। ঝড়ে অধিকাংশ গাছ মাটিতে শুয়ে গিয়েছে। জমিতে জল জমে রয়েছে। ৭০ শতাংশ ফুলগাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর কয়েকজন চাষি মিলে আমরা কলা চাষ করেছিলাম। কলাবাগানে বহু গাছ ভেঙে গিয়েছে। খুবই চিন্তায় রয়েছি।