কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
কাঁথি মহকুমার ৮টি ব্লকের প্রায় প্রতিটি গ্রামই প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির শিকার। প্রতিটি গ্রামেই গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে রয়েছে। খেজুরি-১ ও ২ ব্লক, কাঁথি-১, দেশপ্রাণ, কাঁথি-৩, রামনগর-১ ও ২ ব্লকে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে খেজুরি, কাঁথি ও রামনগর এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক। প্রশাসনিক আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করছেন।
দেশপ্রাণ ব্লকের আলাদারপুট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন গ্রামেরই বাসিন্দা সৌমেন কামিল্যা ও তাঁর পরিবার। তাঁদের মাটির বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়েছে। সৌমেনবাবু বলেন, পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত ত্রিপলটুকুও পাইনি। আর কতদিন ত্রাণ শিবিরে থাকতে হবে, এখন কী করব, কোথায় যাব বুঝেই উঠতে পারছি না।
দেশপ্রাণ-এর বিডিও মনোজ মল্লিক বলেন, ব্লকে মোট ২৪হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে সাত হাজার বাড়ির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। ১৭হাজার বাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত। বহু মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। আমরা সাধ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সব রকম চেষ্টা করছি।
জানা গিয়েছে, প্রতি ব্লকেই সামগ্রিকভাবে সব্জি,পান বরজ, ফুল ও নার্সারি, বোরো ধান, মাছ, ইট ও টালি ভাটা সবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খেজুরির বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডল শুক্রবার বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন। বিধায়ক বলেন, ৩০ হাজারের বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব কিছু তো ক্ষতি হয়েছেই, খেজুরি মোবাইল ফোনের গগনচুম্বী টাওয়ারও ভেঙে পড়েছে।
কাঁথি-৩ ব্লকের ভাজাচাউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের ডুমুরবেড়িয়া গ্ৰাম এখনও বিদ্যুৎহীন। তাই গ্রামের কিছু মানুষ চাঁদা তুলে জেনারেটরের সাহায্যে শ্যালো মেশিন চালিয়ে জল তুলে এলাকার ১৫০টি পরিবারকে সরবরাহ করছেন। বাসিন্দারা বলেন, যতদিন পর্যন্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হবে না, ততদিন এভাবে আমরা জল সরবরাহ করব। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
এগরা ও পটাশপুর এলাকাও একইভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুটি ব্লকে প্রচুর চিনাবাদামের চাষ হয়। কিন্তু প্রবল বৃষ্টিতে বিঘার পর বিঘা চিনা বাদাম গাছ নষ্ট হয়েছে। অথচ আর কিছুদিন পরই চিনা বাদাম তোলার কথা ছিল চাষিদের। কাঁথির উপকূলবর্তী এলাকা জুড়েই প্রচুর ঝাউগাছ ভেঙে পড়েছে। বন দপ্তরের কাঁথির রেঞ্জ অফিসার প্রবীর সেন বলেন, সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় হাজার হাজার ঝাউগাছ উপড়ে পড়েছে। বুলবুলের চেয়েও এবার আরও ক্ষতি হল। এখন ক্ষয়ক্ষতির হিসেব চলছে। দেশপ্রাণ ব্লকের চারাগাছ ব্যবসারও প্রচুর ক্ষতি হয়েছে এই ঝড়ে। কাঁথির মহকুমা শাসক শুভময় ভট্টাচার্য বলেন, পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করার জন্য সবরকম চেষ্টা চলছে।