কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাট, বনগাঁ ও বারাসত মহকুমায় প্রায় ২০ হাজার হেক্টর সব্জি, ১৯ হাজার হেক্টর তিল, ৪৮ হাজার হেক্টর পাট, ১০ হাজার হেক্টর কলা, ৫ হাজার হেক্টর পেঁপে চাষ ছাড়াও ফুল ও অন্যান্য ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আধিকারিকদের দাবি, সামগ্রিক তথ্য হাতে এলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। এই তিন মহকুমায় প্রায় ১৬ হাজার হেক্টর মিষ্টি ও নোনা জলের মাছ চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন বাগদা ও ভেনামি চিংড়ি, ৭০০ মেট্রিক টন গলদা চিংড়ি চাষের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ২০ মেট্রিক টন মাছের চারা পোনা, ৪০০ বেশি মাছ ধরার নৌকা, মজুত করা বিপুল পরিমাণ মাছের খাবারও নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, ঘর ও গাছ চাপা পড়ে প্রচুর গোরু ও ছাগল মারা গিয়েছে। বসিরহাটের বিভিন্ন ব্লকে গবাদি পশুর খাবারের সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে, বসিরহাট মহকুমার পাশাপাশি অন্যান্য জায়গায় এখনও বিদ্যুৎ ও মোবাইল পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। চার হাজারের বেশি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ার পাশাপাশি হাইটেনশন লাইন বহু জায়গায় ছিঁড়ে গিয়েছে। ১২টির বেশি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও একাধিক বিডিও অফিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সন্দেশখালি১ ব্লকের বিডিও আবাসনের মতো একাধিক সরকারি প্রতিষ্ঠানে বাঁধ ভেঙে নদীর জল ঢুকে গিয়েছে। এখনও সন্দেশখালি১ ও ২, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, মিনাখাঁ, বসিরহাট১ ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম জলমগ্ন। গ্রামের মধ্যে নৌকায় যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন বহু মানুষ। জলমগ্ন এইসব এলাকায় পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট দেখা দিতে শুরু করেছে। ত্রাণ সামগ্রী ও ত্রিপলের জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে বহু জায়গায়। শুধুমাত্র সন্দেশখালি১ ব্লকে ৭০ থেকে ৮০ হাজার বাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর কাজ শেষ না হওয়ায়, ক্ষতিগ্রস্ত ব্লকের গ্রামীণ এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী সহ কোনও পরিষেবা পাঠানো যাচ্ছে না।