কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
এনবিএসটিসি’র তুফানগঞ্জ ডিপোর ইনচার্জ গৌতম হাজরা বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে আন্তঃজেলা বাস পরিষেবা চালু হয়েছে। থার্মাল স্ক্রিনিং মেশিন দিয়ে যাত্রীদের দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা করার পরেই বাসে তোলা হচ্ছে। এ ছাড়াও সংস্থার কর্মীদের শরীরের তাপমাত্রা নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরীক্ষা করার জন্য ডিপোতেও ইনফ্রারেড টেম্পারেচার গান নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা চাই সকলেই নিরাপদে ভ্রমণ করুক। পাশাপাশি আমাদের কর্মীরাও সর্বদা সুস্থ থাকুক।
সংস্থার আলিপুরদুয়ার ডিপো ইনচার্জ অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এনবিএসটিসি’র সদর কার্যালয় কোচবিহার থেকে কয়েকটি থার্মাল স্ক্রিনিং মেশিন আমাদের ডিপোয় আসবে। আমরা ওই মেশিনগুলি বাস কন্ডাক্টরদের হাতে তুলে দেব। যাত্রীদের দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা করার পরেই তাঁদের বাসে তোলা হবে। এখন আমরা বাসের বাইরের অংশ এবং ভেতরের সিট, হাতল সহ অন্যান্য অংশ প্রতিদিন স্যানিটাইজ করছি। এর জন্য জেলা প্রশাসন আমাদের ৬০ লিটার স্যানিটাইজার পাঠিয়েছে। এছাড়াও দমকলের ইঞ্জিন এসেও ডিপোর ভেতরে বিভিন্ন অংশ স্যানিটাইজ করে যাচ্ছে।
লকডাউনের চতুর্থ পর্বে রাজ্যের গ্রিন জোনের জেলাগুলির মধ্যে গত ২১ মে থেকে যাত্রী নিয়ে সরকারি বাসগুলি চলাচল করছে। গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলার মধ্যে এনবিএসটিসি বাস পরিষেবা চালু করেছে। এদিকে সংস্থার এমন উদ্যোগকে যাত্রীরা প্রশংসা করছেন। তুফানগঞ্জ শহরের বাসিন্দা সরকারি কর্মী আশুতোষ রাহা বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে এনবিএসটিসি’র পক্ষ থেকে যে ব্যবস্থা করা হয়েছে তা সত্যি প্রশংসনীয়। আলিপুরদুয়ার শহরের বাসিন্দা অনির্বাণ সরকার বলেন, এটা ভালো উদ্যোগ। কোভিড পরিস্থিতিতে যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত হচ্ছে। বর্তমানে তুফানগঞ্জ ডিপো থেকে প্রতিদিন একটি বাস কোচবিহারে যাতায়াত করছে। আলিপুরদুয়ার ডিপো থেকে প্রতিদিন ন’টি বাস বিভিন্ন রুটে চলছে। যাত্রী সংখ্যা বাড়লে আরও বাস চলবে বলে এনবিএসটিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।