কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্লকের শিবপুর, সিঙ্গার, কিরীটেশ্বরী সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। লকডাউন চলা সত্ত্বেও এতদিন ব্লকের বিভিন্ন এলাকার রাস্তায়, চায়ের দোকান সহ পাড়ার মোড়ে জমায়েত হচ্ছিল। শুক্রবার সকালে দু’টি গ্রামে চারজন করে মোট আটজনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর চাউর হতেই কাউকে বাড়ির বাইরে বের হতে দেখা যায়নি। একদিনেই নবগ্রাম ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের চিত্রটাই যেন বদলে গিয়েছে।
সিঙ্গার গ্রামের বাসিন্দা জয়ন্ত রায় বলেন, গ্রামগুলিতে কোনওরকম বিধিনিষেধ মানা হচ্ছিল না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক পরার নির্দেশ মানা হচ্ছিল না। ব্লকের দু’টি গ্রামে একসঙ্গে আটজনের পজিটিভ রিপোর্ট আসার খবর ছড়াতেই অনেকে সচেতন হয়েছেন।
নবগ্রাম ব্লকের হাজারের বেশি বাসিন্দা কেরল, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা প্রভৃতি রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। লকডাউনে বেশ কিছুদিন আটকে থাকার পরে অনেকেই গাড়ি ভাড়া করে, ট্রাক বা বাসে চেপে ফিরতে শুরু করেন। গত কয়েকদিনের মধ্যে খাজুরিয়া এবং নতুনগ্রামের বেশ কিছু পরিযায়ী শ্রমিক মহারাষ্ট্র থেকে ফিরেছেন। জামুরিয়া গ্রামের পরিযায়ী শ্রমিকদের একটি বাড়িতে রেখে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
জামুরিয়া গ্রামের উপপ্রধান উত্তম মণ্ডল বলেন, করোনা পজিটিভ হওয়ার খবরে গ্রামে চাপা আতঙ্ক রয়েছে। তবে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা গ্রামে গিয়ে আশ্বস্ত করার পর পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে।
নবগ্রাম থানার ওসি অভিজিৎ বসুমল্লিক বলেন, দু’টি গ্রামের উপর নজরদারির জন্য সিভিক ভলান্টিয়ার ও স্থানীয় যুবকদের নিয়ে একটি করে কমিটি গঠন করে নজরদারি চালানো হচ্ছে। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতির্ময় সরকার বলেন, আক্রান্তরা আর কাদের সংস্পর্শে এসেছিল তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, সালার থানার সরমস্তিপুর গ্রামে এক পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ওই শ্রমিক তিনদিন আগে মুম্বই থেকে গ্রামে ফেরেন। এদিন সকালে তাঁর পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মী ও পুলিস তাঁকে বহরমপুরের করোনা হাসপাতালে পাঠায়। এই ঘটনায় গ্রামে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। সেখানে স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে আক্রান্তের বাড়ির চারপাশ স্যানিটাইজ করা হয়। আক্রান্তের পাড়া বাঁশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়।
পঞ্চায়েত প্রধান লিলি বেগম বলেন, আমরা বাসিন্দাদের বুঝিয়ে বলেছি, আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আক্রান্তের পরিবারে ছ’জন সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।