ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
করোনা রুখতে ২১দিনের লকডাউন চলছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরনোর নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এদিকে প্রয়োজন থাকলেও অনেকেই করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে বাড়ির বাইরে পা রাখছেন না। আবার অনেক পরিবার লোকের অভাবে বাজার করতে পারছে না। এই অবস্থায় নাগরিকদের সমস্যা সমাধানে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। পুরসভার জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের ওয়ার্ডের সমস্যায় পড়া পরিবারের ফোন পেয়ে বাজার করে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন। ৩নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার রিপন মণ্ডল লকডাউনের দু’দিন পরে থেকেই এই পরিষেবা চালু করেন। রিপনবাবু বলেন, ওয়ার্ডের বেশিরভাগ পরিবারের প্রবীণরা বাজার সহ বাইরের কাজ করে থাকেন। কিন্তু লকডাউনের পাশাপাশি করোনা সতর্কতায় ঘরবন্দি হয়ে থাকার ফলে সমস্যায় পড়েছে পরিবারগুলি। বিষয়টি নজরে আসতেই পাড়ার ছেলেদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাজার করে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। এরপরে থেকে প্রতিদিন বাজার করে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে ফোন আসতে শুরু করে। ফোন পাওয়া মাত্রই নির্দিষ্ট বাড়িতে গিয়ে ফর্দ নিয়ে এসে বাজার করে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, পুরসভা এলাকায় অনেক বয়স্ক পরিবার রয়েছে। এই পরিবারের কর্তাদের আমরা রাস্তায় বেরতে বারণ করছি। আমাদের জনপ্রতিনিধিদের ফোনে জানালেই তাঁদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ফর্দ সমেত বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অনেক পরিবার রয়েছে যাদের বাজার বা বাইরের কাজ পরিচারিকারা করেন। লকডাউনে বহু পরিবারের পরিচারিকারা আসছে না। ফলে সেই সমস্ত পরিবারগুলি ফোন করলে তাদের বাজারও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। জিয়াগঞ্জ শহরের এক প্রবীণ বাসিন্দা ভারতী মণ্ডল বলেন, পুরসভার এই পদক্ষেপে বেশ কিছু পরিবার উপকৃত হচ্ছে। করোনা প্রতিরোধে ঘরেও থাকা যাচ্ছে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার জিয়াগঞ্জ থানার মুকুন্দবাগ গ্রাম পঞ্চায়েতের কুসুমখোলা গ্রামে প্রায় ১১০০আদিবাসী পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিল সিটি মুর্শিদাবাদ ব্যবসায়ী সমিতি। সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে প্রতি পরিবারকে ৩ কেজি চাল, ১কেজি আলু, লবণ, সর্ষেতেল এবং ডাল দেওয়া হয়েছে। সমিতির সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, আদিবাসীরা কাজে যেতে পারছেন না, তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন। তাই গ্রামের এই আদিবাসী পরিবারগুলির হাতে সামান্য খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে।