ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে বীরভূমে নন হোম কোয়রেন্টাইনে ৪১৫জন বাসিন্দা রয়েছেন। তাঁদের বিভিন্ন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে। সাধারণত যেসব মানুষের বাড়ি ভিন জেলায় অথবা যাঁরা আটকে পড়েছেন তাঁদের সেইসব সেন্টারে নন হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তাঁরা রয়ে গিয়েছেন। জেলায় এরকম ১৬টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খুলেছে জেলা প্রশাসন। জেলার প্রায় প্রত্যেকটি ব্লকেই এরকম কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে। তাঁরা যাতে দীর্ঘদিন ধরে সেখান থেকে বের না হন সেইজন্য প্রশাসন একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে। গত সোমবারই সেইসব বাসিন্দাকে তাস, লুডো দিয়েছে প্রশাসন। তাছাড়া শিশুদের জন্য টেডিবিয়ারও পাঠিয়েছে ব্লক প্রশাসন। স্বাভাবিকভাবেই সেইসব সামগ্রী পেয়ে খুশি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা বাসিন্দারা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলিতে টিভি লাগানোর ব্যবস্থাও করেছে প্রশাসন। সারাদিন টিভির পর্দায় চোখ রেখে যেমন তাঁদের সময় কাটবে, তেমনি প্রজেক্টারের মাধ্যমে সিনেমা দেখানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলা অথবা হিন্দি সিনেমা দেখানো হবে বাসিন্দাদের। কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা বাসিন্দাদের বাড়ির পরিবেশ তৈরি করে দিতেই এই ভাবনা বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, কিছু কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে শুধু পুরুষরা রয়েছেন। কোথাও আবার মহিলা, শিশুও রয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের কথা ভেবেই ভিন্ন স্বাদের সিনেমা দেখানো হবে।
জেলাশাসক বলেন, কার্যালয়ের নিজস্ব প্রজেক্টার রয়েছে। সেই প্রজেক্টারের মাধ্যমেই সিনেমা দেখানো হবে। মহম্মদবাজারের বিডিও আশিস মণ্ডল বলেন, আমরা কিছুদিনের মধ্যেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা বাসিন্দাদের সিনেমা দেখানোর ব্যবস্থা করছি। ইলামবাজারের বিডিও বলেন, এখানে একটি সেন্টারে যুবকরা রয়েছেন। এদিনই তাঁদের সিনেমা দেখানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে টিভি দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমে নন হোম কোয়ারেন্টাইনের পাশাপাশি হোম কেয়ারেন্টাইনে প্রায় ৬০০০ বাসিন্দা রয়েছেন। তাঁরা বাড়িতে থাকলেও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারের মাধ্যমে শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তবে, জেলায় এখনও পর্যন্ত করোনা পজিটিভ কারও মধ্যে পাওয়া যায়নি।
জেলাশাসক বলেন, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা বাসিন্দাদের প্রতিনিয়ত কাউন্সেলিং করা হচ্ছে। চিকিৎসকরা সেইসব ব্যাপারে খতিয়ে দেখছেন। কিন্তু, মনোরঞ্জনের জন্য তাঁদের নানা ধরনের খেলা বা বিনোদনের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে।