Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জরুরি দ্রুত এবং ব্যাপক জনমুখী পদক্ষেপ
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

করোনা ভাইরাস ভারতীয় অর্থনীতির সামনে একই সঙ্গে একটা বড় ধাক্কা এবং কিছুটা সুযোগ দিয়ে গেল। এমনিতেই বৃদ্ধির হার কমতে কমতে ৪ থেকে সাড়ে ৪ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। আশা করা যাচ্ছিল এবার হয়তো সেটা ৫ শতাংশের কাছে পৌঁছবে। কিন্তু যে ধাক্কা এই করোনা দিল—গোটা বিশ্ব অর্থনীতির মন্দার মুখে দাঁড়িয়ে; দেশের অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানো কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াল মোদি সরকারের কাছে।
কতটা কঠিন? বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রাক্তন প্রধান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগলিটজ তার ব্যাখ্যা করেছেন খুব সুন্দর। ২০০৮ সালে মার্কিন মন্দার পর বিশ্ব অর্থনীতি যখন মুখ থুবড়ে পড়ে, তখন রাষ্ট্র সংঘের গড়া স্টিগলিটজ কমিশন রিপোর্টে তিনি লিখেছিলেন, খুব বড় কোনও সঙ্কটের সঙ্গে লড়াই করবার ক্ষমতা উন্নয়নশীল দেশগুলোর মানুষের হাতে থাকে না। কারণ আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার অভাবে এরা এমনিতেই কোণঠাসা অবস্থায় থাকে। একই অবস্থা সরকারের। রাজস্ব আয় ক্রমশ কমতে থাকে, দেশ চালানোর খরচটুকু যথেষ্ট থাকে না, সেখানে আর্থিক ও রাজস্ব ঘাটতি মিটিয়ে উন্নয়নের খরচ জোগান ও কঠিন সমস্যা হয়ে ওঠে। হঠাৎ কোনও বিশ্বসঙ্কটের মুখে মূলধনের অভাব পড়ে গেলে, ঘুরে দাঁড়াবার পথ খুঁজে পাওয়া সহজ কাজ নয়। এই মূলধন মানে শুধুই আর্থিক লগ্নি করার মতো পুঁজি নয়। প্রাকৃতিক ও শিল্প রসদের অভাবটা বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যে-দেশ থেকে সেগুলো আসার কথা, বিশ্বমন্দা হেতু তার জোগানে ঘাটতি থাকায় দেশের উন্নয়নের জন্য চাহিদা থাকলেও উৎপাদন করার উপায় থাকে না।
ঠিক এই অবস্থা এখন ভারতীয় অর্থনীতির। করোনার জন্য নানা দেশের লকডাউন বিশ্ব অর্থনীতির জোগানের চেইন ছিন্ন করে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার বিশ্বমন্দা ঘোষণার পর স্টিগলিটজ গত পরশু বলেন, এবারের সমস্যাটা আরও জটিল এবং কঠিন। কারণ সঙ্কটের কারণ যে করোনা তার সমাধান আগে জরুরি, কিন্তু তার পূর্ণ সমাধান পেতে পেতে সেপ্টেম্বর মাস! অর্থাৎ, কমপক্ষে ছয় মাসের ব্যাপার। তারপর বিশ্ব অর্থনীতির সাপ্লাই-সাইড মেরামত হবে। তার আগে ঘুরে দাঁড়ানোর কোনও উপায় নেই।
হ্যাঁ। এটা ঠিক। এই অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসতে মার্কিন ও ইউরোপীয় অর্থনীতির জন্য যতটা সময় লাগবে, চীন বা ভারতের জন্য তা লাগার কথা নয়। এর আগে ২০০৮ সালের মন্দার পরেও তাই দেখা গিয়েছিল। লকডাউন তোলার পরেই গত দু'সপ্তাহের মধ্যে চীন যেভাবে উৎপাদন বাড়িয়ে ফেলেছে তাতে চীনের সাপ্লাই সেন্টার দ্রুত ছন্দে ফিরছে। এর সুফল পড়বে বিশ্ব অর্থনীতিতে। ওষুধ, কেমিক্যাল, সার ইত্যাদি কিছু শিল্পের কাঁচামাল আসে চীন থেকে। করোনা লকডাউন ও বিশ্বমন্দা শুরু হওয়ায় দেশের শিল্পমহল সঙ্কটে। সিআইআই এবং ফিকি-র সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন কোম্পানির চাহিদা ৫০% কমে গিয়েছে। নগদ লেনদেন কমে গিয়েছে ৮০%। এতৎসত্ত্বেও মার্কিন বা ইউরোপের চাইতে ভারতের চিত্রটা তুলনামূলকভাবে ভালো। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরে যথাযথ পদক্ষেপ করতে হবে সরকারকে।
ভারতীয় অর্থনীতির মূল শক্তির জায়গাটা হল দেশের অভ্যন্তরে বিপুল বড় একটা বাজার। ১৩০ কোটি মানুষের বাজার। এই বাজারে টাকার লেনদেন ঠিক থাকলে অর্থনীতির গতি বজায় রাখা যায়। এবার করোনা আতঙ্কে লকডাউনের পর সমস্যা হল, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহু লক্ষ কোটি টাকার উৎপাদিত বিক্রয়যোগ্য পণ্য আটকে যাওয়া। ইনভেন্টরি আটকে যাওয়ায় গাড়ি শিল্প, কিংবা রিয়াল এস্টেট এই কারণেই ঘুরে দাঁড়াতে সময় নেবে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের উচিত হবে অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা বাড়ানোর জন্য কৃষি ও গ্রামোন্নয়নে জোর দেওয়া যাতে গ্রামীণ অর্থনীতির চাহিদাটা ঠিক থাকে। এজন্য জরুরি হল ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পটির সঙ্গে যুক্ত ৮ কোটি মানুষকে লকডাউন উঠে গেলেই কাজ দেওয়া। দরকার সরাসরি তাদের ব্যাঙ্কে টাকা জমা দেওয়া। একইসঙ্গে কৃষিক্ষেত্রে ভর্তুকি দিয়ে গ্রামীণ চাহিদা শক্তিশালী করা। তাহলে ভারতের ভোগ্যপণ্যের শিল্প চাঙ্গা হতে পারবে। আসলে এই সময়ে শিল্পকে চাঙ্গা করতে পুঁজিভিত্তিক উন্নয়নের বদলে বেশি নজর দিতে হবে গণমুখী পদক্ষেপের উপর। কারণ, এই কৌশলটা স্বল্পমেয়াদে অনেক বেশি কার্যকর হয়। উন্নয়নের লক্ষ্য করে তুলতে হবে আপামর দরিদ্র, স্বল্পবিত্ত, মধ্যবিত্ত আম জনতাকে।
করোনা লকডাউনের জন্য এদের মধ্যে কমপক্ষে ১৩ কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। এর প্রভাবটা সরাসরি এসে পড়বে বাজারের উপর। হু হু করে কমে যাবে চাহিদা সমস্ত ক্ষেত্রে। তাই এই মানুষগুলো যাতে জীবিকাহারা না-হয় তার জন্য সরকারের উচিত অসংগঠিত ক্ষেত্র নিয়ে অবিলম্বে বড়সড় নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া।
সেটা কেমন হতে পারে? এমন ধরনের মহামারী, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে অর্থনীতির বিপন্নতা নিয়ে গবেষণা করে যে মার্কিন সংস্থা তার প্রধান জানাচ্ছেন, সমস্ত রকম সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারকেই ন্যূনতম একটি অর্থ এদেরকে দিতে হবে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ট্রান্সফার করে দিতে হবে। তাহলে বেঁচে যাবে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার, সেই বাজারকে ভিত্তি করে চলা আরও ৪০ কোটি মানুষের জীবন। শুধুমাত্র কৃষি গ্রামোন্নয়ন ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত এদেশের ১০০ কোটি মানুষ। তাদের মুখে দুবেলা দুটো অন্ন দেওয়ার ব্যবস্থা করা সম্ভব। সরকার সেটাই করেছে প্রধানমন্ত্রী অন্নযোজনা প্রকল্পের মাধ্যমে। এবার পরিযায়ী শ্রমিকসহ সকল কর্মহারাদের জন্য ন্যূনতম আর্থিক সহায়তা চালু করুক। এই প্রকল্প বলে পরিবারপিছু ১০ হাজার টাকা কম করে আগামী ছ'মাস দেওয়ার ব্যবস্থা করুক। তাহলে আস্তে আস্তে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখা যেতে পারে দু'মাসের ভিতরেই। এর জন্য যদি সরকারকে খোলা বাজার থেকে ঋণ নিতে হয় সেটাও অনেক গ্রহণযোগ্য পথ। তাতে রাজস্ব ঘাটতির মুখোমুখি হতে হলেও আশঙ্কার কিছু নেই।
চলতি পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলোর প্রাপ্য দ্রুত মিটিয়ে দিতে কেন্দ্র সাহায্য করুক। রাজ্যগুলোর জন্যে প্রয়োজনীয় ঋণ ও ওভার-ড্রাফট সীমা শিথিল করা হোক। তাতে বাজারে নগদের জোগান বাড়বে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিধি ভেঙে ফেলে রাজ্যগুলিকে সাহায্য করা দরকার। এসবের ফলে মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে। টাকার দাম এখনই তলানিতে। বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছে। এর মধ্যে একটাই আশার বাণী: বিশ্বের অর্থনীতি স্তব্ধ, তাই খনিজ তেলের দাম খুব কম গিয়েছে। ফলে বিদেশি মুদ্রা বাঁচবে। কিন্তু টাকার দাম না-বাড়লে তো আমদানি খরচ বাড়বেই। তাই সরকার ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে বিরাট চ্যালেঞ্জ হল টাকার দাম কমতে না-দেওয়া। তবে রপ্তানি কমে যাবে বলে মনে হয় না। বরং ভারতীয় পণ্য রপ্তানির বাজারটা অনেক উজ্জ্বল হয়ে দেখা দিচ্ছে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে। এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করার জন্য ভারত সরকারকে রপ্তানি ভর্তুকি বাড়াতে হবে। আর প্রয়োজন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে নতুন অনুকূল বাণিজ্য চুক্তি করা। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অংশীদার হতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
মোদি-ট্রাম্প দু'জনের কেউই কাউকে বাণিজ্য সুবিধা দিতে একটুও বেশি জায়গা ছাড়তে চান না। তবে, ইতিমধ্যেই ২০০-র বেশি মার্কিন কোম্পানি চীন ছেড়ে ভারতে এসে ব্যবসা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সেক্ষেত্রে তাদের মতো শ্রমসংস্কার প্রয়োজন। সস্তার দক্ষ শ্রম এখানেও জরুরি। ভারতে সেটা সহজলভ্য। তাই করোনা-পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক পুঁজি কতটা ভারতে আসবে সেটা নির্ভর করবে তাদের শর্ত পূরণে এদেশের সরকার কতটা আগ্রহী ও সচেষ্ট। সরকার এখনও এক্ষেত্রে খুবই অসফল। আগ্রহী বিদেশি কোম্পানিগুলোকে এদেশে আনতে পারেনি সরকার, ব্যর্থ মেক ইন ইন্ডিয়া। উৎপাদন শিল্পে বৃদ্ধি নেই বলে ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে ভারতের সম্ভাবনা।
বিদেশি লগ্নি আরও বেশি আকর্ষণ করবার জন্যে প্রয়োজন সংস্কার—শ্রম আইন, কর ব্যবস্থা। বহুজাতিক পুঁজির লগ্নি দরকার। চীন সেটা করতে পেরেছে বলেই ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরে এতটা নিয়োগ সম্ভব হয়েছে। সেটা করবার জন্য চীনকে প্রথমে সস্তায় উৎপাদনে সক্ষম হয়ে উঠতে হয়েছে। দেশের সংগঠিত শ্রমশক্তি দিয়ে ওটা হয় না। বরং এদেশের বিপুল অসংগঠিত ক্ষেত্রেকে নিয়ে এবার সরকার ভাবুক।
লকডাউন পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে বাজারে নগদ জোগানের উপর। কারণ, দীর্ঘ লকডাউনে স্তব্ধ সমস্ত প্রায় অথনৈতিক কর্মকাণ্ড। স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসায়িক কাজ, আয় ও সঞ্চয় নেমে আসবে তলানিতে। এই সময়ে নগদ জোগানের অভাবে যাতে উৎপাদন ক্ষেত্রে কাজ বন্ধ না-হয় তার জন্য একটা তিন মাসের ক্যাশ ক্রেডিট ওভার ড্রাফট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সমস্ত ক্ষুদ্র সংস্থা, ছোট ও মাঝারি শিল্প সংস্থাকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বা চলমান পুঁজির একটি সহায়তা ভীষণ জরুরি। একইভাবে জরুরি যারা নতুন তাদের জন্য উৎপাদন শুল্ক কমিয়ে বাজার ধরতে সাহায্য করা। এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে সহজ শর্তে ঋণদানের বিষয়টি দেখা দরকার।
এমন সঙ্কটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে পারে একমাত্র দেশের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ।সেই লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে সরকারি ব্যাঙ্কগুলোর জনগণের মধ্যে রিটেল লোন ছড়ানোর মধ্য দিয়ে। এখনও পর্যন্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও কেন্দ্রীয় সরকার যে সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছে তার প্রত্যেকটি অত্যন্ত কার্যকর পদক্ষেপ। আশা করা যায়, সুফল আসবে। তবে, সব ক'টি কেবলমাত্র শিল্পমহলের দিকে তাকিয়ে, দেশের সার্বিক উন্নয়নের দিকে তাকিয়ে সরকারকে সামগ্রিক অবস্থান নিতে হবে সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে সুফল পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
সবচাইতে বড় দরকার সব শ্রেণীর মানুষের হাতে উদ্বৃত্ত নগদ। নইলে বাজার তার শক্তি হারাবে। নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় সতর্ক করে বলেছেন, করোনা-পরবর্তী পর্বে সবচেয়ে বড় কাজ চাহিদা বাড়ানো। সেটা করা না-গেলে অর্থনীতিতে ধস নামবে। সমাজ অশান্ত হয়ে উঠবে। নগদ সঙ্কটে ভোগা একটি অর্থনীতিতে সব মিলিয়ে কমপক্ষে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ধাক্কা। এর মধ্যেই অর্থনীতি সচল রাখতে হবে, নগদ জোগানের ব্যবস্থাও করতে হবে। নতুন করে পুঁজির বিনিয়োগ ও বিশেষ ছাড়—দুটোই দিতে হবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। তার মধ্যে অ্যাভিয়েশন, হসপিটালিটি, ট্যুরিজম, রিয়েল এস্টেটে চাই সহায়তা চাই সবার আগে এবং সবার চেয়ে বেশি। করোনা লকডাউনে এগুলোই ধাক্কা খেল মারাত্মক। এর সঙ্গে যুক্ত কয়েক কোটি মানুষ, রাষ্ট্রের সাহায্য ছাড়া পুঁজি যে তার লগ্নি টিকিয়ে রাখতে পারে না সেটা বিশ্ব জুড়ে আবারও প্রমাণ হল করোনা আতঙ্কে। তাহলে কি ফিরে আসবে মানুষ কেইনসিয়ান অর্থনীতির উন্নয়ন মডেলে—রাষ্ট্রকে সামনে রেখে? বিশ্বায়নের অর্থনীতির মডেল উন্নয়নকে গণমুখী করতে ব্যর্থ। নানা চ্যালেঞ্জের মুখে উন্নয়নকে ধরে রাখতে পারছে না, এমনকী একচেটিয়া বিশ্বায়িত পুঁজির উন্নত দুনিয়াও। তাই ভারত বিকল্প উন্নয়নের পথ খুঁজে নিক নিজের মতো করেই।
করোনার পরেও আছে এক অন্ধকার সময়
সন্দীপন বিশ্বাস

 কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তখন যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসারত। তাঁর ওই অবস্থা নিয়ে সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি অসাধারণ কবিতা লিখেছিলেন। ‘আমরা চাঁদা তুলে মারব কীট/... বসন্তে কোকিল কেশে কেশে রক্ত তুলবে সে কীসের বসন্ত!’
বিশদ

গ্যালারি শো কতদিন?
খাবার জুটবে তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 ব্যবসার কাজে হংকং গিয়েছিলেন বেথ এমহফ। কাজ সেরে পার্টি... তারপর দেশে ফেরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শিকাগো হয়ে যখন মিনিয়াপোলিস ফিরলেন, ততক্ষণে উপসর্গ দেখা দিয়েছে। দুই, চার, ১৬, ২৫৬... বাড়তে শুরু করল সংখ্যা। সর্দি, কাশি, জ্বর... মৃত্যু। এটাই ছিল চক্র। বিশদ

07th  April, 2020
যাও সুখের সন্ধানে যাও
অতনু বিশ্বাস

 সাম্প্রতিক ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত। মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প গিয়েছিলেন দিল্লির একটি সরকারি স্কুলে। পূর্বনির্ধারিত ‘হ্যাপিনেস ক্লাস’-এ যোগ দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সুখের ক্লাস দেখতে। বিশদ

07th  April, 2020
এখন সবাই জেলবন্দি
পি চিদম্বরম

 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) ২০৫টি দেশ আক্রান্ত হয়েছে। ভাইরাস হল সংক্রমণ ঘটাতে পটু এক ধরনের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বস্তু, যা কেবলমাত্র প্রাণীদেহের জীবিত কোষের ভিতরে প্রবেশ করে নিজের প্রতিলিপি ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে চলে। বিশদ

06th  April, 2020
ধর্মীয় গোঁড়ামির কাছে কি শেষে
হার মানবে করোনা বিরোধী লড়াই?
হিমাংশু সিংহ

 এই ভয়ঙ্কর মহামারীর দিনে দিল্লির নিজামুদ্দিনে লকডাউন ভেঙে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের জমায়েত থেকে মানবসভ্যতার কী লাভ হল? কিংবা গত বৃহস্পতিবার বালুরঘাটে রামনবমীর ভিড়ে ঠাসা মেলায়? সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের রামমন্দিরের সামনে মানুষের লম্বা লাইনে?
বিশদ

05th  April, 2020
আত্মঘাতী খেলা
তন্ময় মল্লিক

লড়াইটা আমরা কি ক্রমশই কঠিন করে ফেলছি। লকডাউন ঘোষণার পর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই লড়াইকে হাল্কা চালে নেওয়ার প্রবণতা স্পষ্ট। আর সেটা এই মুহূর্তে রুখে দিতে না পারলে সর্বনাশ অনিবার্য। ইতালি, আমেরিকা, স্পেনের রিপ্লে দেখতে হবে ভারতেও। প্রথমদিকে লকডাউন মানার যে মানসিক দৃঢ়তা আমরা দেখাতে পেরেছিলাম, দিন দিন তা শিথিল হচ্ছে।
বিশদ

04th  April, 2020
হাঁটার গল্প
সমৃদ্ধ দত্ত 

অনেকবার আবেদন করেও আধার কার্ড পায়নি রতু লাল। রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড যুক্ত না করা হলে রেশনও পাওয়া যায় না। সুতরাং সে রেশন পায় না। তার খুব দুঃখ ছিল, সরকারের কোনও কাগজ তার কাছে নেই বলে। সেই কষ্ট ঘুচল। অবশেষে করোনা ভাইরাসের দৌলতে এই প্রথম সরকারিভাবে একটি স্বীকৃতি পেল রতু লাল। কোনও কাগজ, সার্টিফিকেট নয়। আরও স্পষ্ট, আরও সোজাসুজি।   বিশদ

03rd  April, 2020
তাল কেটে দিল দিল্লি একাই
হারাধন চৌধুরী

একটি মাত্র শব্দ। করোনা। সারা পৃথিবীর শিরোনাম দখল করেছে। খবরের কাগজের প্রথম পাতা। বিনোদনের পাতা। খেলার পাতা। টেলিভিশনের নিউজ চ্যানেল। সব রকম সোশ্যাল মিডিয়া। এমনকী সরকারি, বেসরকারি বিজ্ঞাপনগুলিও আজ করোনাময়! সকাল থেকে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত আমাদের কুশলাদি বিনিময়ের বিস্তৃত সংস্কৃতিতেও করোনা ভাগ বসিয়েছে পুরোমাত্রায়।  বিশদ

02nd  April, 2020
লকডাউনেই থামবে করোনার অশ্বমেধের ঘোড়া
সন্দীপন বিশ্বাস

 এ এক অন্য পৃথিবী। এই পৃথিবী দেখার জন্য আমরা কেউই প্রস্তুত ছিলাম না। কিন্তু হঠাৎই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো অতি দ্রুত আমরা মুখোমুখি হলাম এই অন্য পৃথিবীর। যেখানে গাছের পাতা ঝরার মতোই ঝরে পড়ছে মানুষের প্রাণ। বিশদ

01st  April, 2020
ঘরে থাকতে অক্ষম যে ভারত
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 রণবীর সিং। বয়স ৩৮ বছর। ডেলিভারি এজেন্টের কাজ করতেন দিল্লিতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণার পর হাঁটতে শুরু করেছিলেন তিনি। জাতীয় সড়ক ধরে। যেভাবে হোক গ্রামে পৌঁছতে হবে। গ্রাম মানে মধ্যপ্রদেশের কোথাও একটা... দিল্লি থেকে বহুদূর।
বিশদ

31st  March, 2020
ভীরু এবং আধখেঁচড়া
ব্যবস্থা, তবু স্বাগত
পি চিদম্বরম

গত ১৯ মার্চ, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন যে ২২ মার্চ, রবিবার দেশজুড়ে ‘জনতা কার্ফু’ পালন করা হবে। আমি ভেবেছিলাম প্রধানমন্ত্রী জল মাপছেন, জনতা কার্ফুর শেষে তিনি নানা ধরনের লকডাউন ঘোষণা করবেন। কিন্তু রবিবার কোনও ঘোষণা শোনা গেল না। বিশদ

30th  March, 2020
 করোনা যুদ্ধের অক্লান্ত সৈনিক ডাক্তারবাবুরা,
দোহাই ওদের গায়ে আর কেউ হাত তুলবেন না
হিমাংশু সিংহ

পৃথিবীব্যাপী এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধ চলছে। অদৃশ্য জৈবযুদ্ধ। এলওসিতে দাঁড়িয়ে মেশিনগান হাতে কোনও সেনা নয়, রাফাল নিয়ে শত্রু ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও নয়। হাসপাতালের আইসিইউতে নিরস্ত্র ডাক্তারবাবুরা বুক চিতিয়ে এই নির্ণায়ক যুদ্ধ লড়ছেন রাতের পর রাত ক্লান্তিহীন। বিশদ

29th  March, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, তপন: রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক অমল রায় করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দশ হাজার টাকা দান করলেন। সোমবার তপনের বিডিও সি তামাংয়ের হাতে চেকটি তুলে দিয়েছেন অমলবাবু।  ...

 রিও ডি জেনেইরো, ৭ এপ্রিল: বিশ্ব ফুটবলে এক দশকের বেশি সময় ধরে দাপট দেখিয়ে চলেছেন লায়োনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তবে অনেকের মতে, এই দুই ...

 জীবানন্দ বসু, কলকাতা: করোনা কেন্দ্রিক লকডাউনের জেরে গত কয়েকদিনে তাঁদের স্বাভাবিক জীবনযাপন অনেকটাই দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। পর্যাপ্ত খাদ্য-রসদের অভাবই যে তার অন্যতম কারণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ...

সংবাদদাতা, কাঁথি: গাছের ডাল কাটতে গিয়ে তা ছিটকে বুকে এসে লাগায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক যুবকের। পটাশপুর থানার রামনগর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। মৃতের নাম লক্ষ্মণ মাইতি(৩৭)।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৫৭: বাংলার নবাব আলীবর্দী খাঁ মারা যান।
১৭৫৯: ব্রিটিশ বাহিনী ভারতের মাদ্রাজ দখল করে।
১৮৫৭: বারাকপুরে সিপাহি বিদ্রোহের নায়ক মঙ্গল পাণ্ডের ফাঁসি
১৮৯৪: সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯০২: কলকাতায় মূক ও বধির বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯২৯: দিল্লির সেন্ট্রাল অ্যাসেম্বলিতে বোমা ছুঁড়ে ধরা পড়লেন ভগৎ সিং ও বটুকেশ্বর দত্ত
১৯৫০: ভারত পাক চুক্তি স্বাক্ষর করলেন লিয়াকত-নেহরু
১৯৫০: বিপ্লবী হেমচন্দ্র কানুনগোর মৃত্যু
১৯৭৩: স্পেনের চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর মৃত্যু
১৯৭৬: ফুটবলার গোষ্ঠপালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৫.০৯ টাকা ৭৬.৮১ টাকা
পাউন্ড ৯১.৫৭ টাকা ৯৪.৮৬ টাকা
ইউরো ৮০.৬৮ টাকা ৮৩.৭২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

২৪ চৈত্র ১৪২৬, ৭ এপ্রিল ২০২০, মঙ্গলবার, (চৈত্র শুক্লপক্ষ) চতুর্দশী ১৬/২৬ দিবা ১২/২। উত্তরফাল্গুনী ৯/৩০ দিবা ৯/১৫। সূ উ ৫/২৭/২৬, অ ৫/৫০/১৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/৫৭ গতে ১০/২৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২১ গতে ৫/০ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩৬ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১৫ মধ্যে পুনঃ ১/৩৫ গতে ৩/৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/০ গতে ৮/৩৩ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৭ গতে ৮/৪৪ মধ্যে।
২৪ চৈত্র ১৪২৬, ৭ এপ্রিল ২০২০, মঙ্গলবার, চতুর্দশী ১৩/৫৮/১৪ দিবা ১১/৪/৯। উত্তরফাল্গুনী ৭/১০/১০ দিবা ৮/২০/৫৫। সূ উ ৫/২৮/৫১, অ ৫/৫০/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫৪ গতে ১০/২৩ মধ্যে ও ১২/৫৩ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৩/২২ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩৭ মধ্যে ও ৮/৫৬ গতে ১১/১৫ মধ্যে ও ১/৩৩ গতে ৩/৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/১/৩৬ গতে ৮/৩৪/২২ মধ্যে, কালবেলা ১/১২/৩৮ গতে ২/৪৫/২৩ মধ্যে।
১৩ শাবান

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
১৭৫৭: বাংলার নবাব আলীবর্দী খাঁ মারা যান।১৭৫৯: ব্রিটিশ বাহিনী ভারতের ...বিশদ

07:03:20 PM

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারের সঙ্গে আড়াই ঘণ্টার বৈঠক মুখ্যসচিবের 

09:27:00 PM

করোনা: বিশ্বে সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ৩ লক্ষেরও বেশি রোগী
বিশ্বে করোনা যেমন কেড়ে নিচ্ছে বহু প্রাণ, তেমনি সুস্থও হয়ে ...বিশদ

08:59:28 PM

রামপুরহাটে ঝাড়খণ্ড সীমান্ত সংলগ্ন সুরচিয়া জঙ্গলে আগুন, অকুস্থলে দমকলের ২টি ইঞ্জিন

08:04:00 PM

আজ হুগলি, নদীয়া, বীরভূমে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা 

07:56:00 PM

এবার বিনামূল্যেই হবে করোনা পরীক্ষা, জানাল সুপ্রিম কোর্ট
অনুমোদিত সরকারি বা বেসরকারি ল্যাবে করোনা পরীক্ষা বিনামূল্যে করা হবে। ...বিশদ

07:22:52 PM