ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, করঞ্জির সুরেন্দ্রনাথ ভুঁইয়ার মেয়ে দিল্লিতে একটি জায়গায় পরিচারিকার কাজ করতেন। সেখানেই ওই যুবক পরিচারকের কাজ করেন। বছর সাতেক আগে তাঁদের বিয়ে হয়। দু’জনের পাঁচ বছরের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। মাসছয়েক আগে তাঁর স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে বাপেরবাড়িতে আসেন। স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে অনেকদিন দেখা না ব্যাকুল হয়ে ওঠেন ওই যুবক। শ্বশুরবাড়িতে যেভাবেই হোক পৌঁছতে হবে, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। লকডাউনের কারণে চারদিকে ট্রেন, বাস বন্ধ। বাধ্য হয়ে তিনি হাঁটা শুরু করেন। দীর্ঘ রাস্তা হেঁটে একটি মালগাড়িতে চেপে আসানসোলের রানিগঞ্জ পর্যন্ত আসেন। সেখানে কোনওভাবে একটি সাইকেলের ব্যবস্থা করেন। সেই সাইকেল নিয়েই দীর্ঘ রাস্তা অতিক্রম করে রবিবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে এসে পৌঁছান।
সোমবার বেলার দিকে যুবকের শ্বশুরবাড়িতে আসার ঘটনাটি জানাজানি হয়। তখন এলাকার শতাধিক বাসিন্দা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এনিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে ব্লক প্রশাসনের লোকজন এবং জুনপুট কোস্টাল থানার পুলিস ঘটনাস্থলে আসে। এরপর গ্রামবাসীদের দাবি মেনে ওই যুবককে স্থানীয় নয়াপুট সাইক্লোন সেন্টারের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়। সেখানেও দেখা দেয় বিপত্তি। ওই সেন্টারে বাইরের লোক রাখা যাবে না, এই দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার কিছু বাসিন্দা। যদিও বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে শেষ পর্যন্ত রাজি করানো হয়। নিয়ম মেনে যুবকের স্বাস্থ্য পরীক্ষারও ব্যবস্থা করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা বিকাশ গিরি বলেন, আমাদের এলাকায় অনেক যুবকই ভিনরাজ্য থেকে এসেছেন। তাঁদের এখনও পর্যন্ত কোনও উপসর্গ দেখা দেয়নি। তবুও তাঁরা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রয়েছেন। ওই যুবকও ১৪দিন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে কাটিয়ে শ্বশুরবাড়িতে এলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। যেহেতু বাইরে থেকে আসা লোকজনের কাছ থেকে সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে, তাই আমরা বিক্ষোভ দেখিয়েছি। করঞ্জির পঞ্চায়েত সদস্য বাপিলাল প্রামাণিক বলেন, খবর পেয়েই আমরা গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টা করি। বিডিও লিপন তালুকদার বলেন, এলাকাবাসীর দাবি মেনে ওই যুবককে সঠিক জায়গায় রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।