সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: কৃষ্ণনগর কোতয়ালি থানার ভালুকা পঞ্চায়েত এলাকায় ভিনরাজ্য থেকে ফেরা বহু যুবক হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন না। তাঁরা সর্বত্র ঘোরাফেরা করছেন। এলাকায় লকডাউন ভেঙে নিত্যদিন হাট-বাজার বসছে, চায়ের দোকান খোলায় ভিড়ও জমছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১৬৫জন কর্মসূত্রে ভিনরাজ্য থেকে ফিরে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে সিংহভাগই আনন্দবাস এলাকার বাসিন্দা। ভালুকা পঞ্চায়েতের প্রধান মধুসূদন সরকার বলেন, সবাইকে লকডাউন মেনে চলতে বলা হয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবারকে চাল, আলু, মুড়ির প্যাকেট দেওয়া হয়েছে। বারংবার আনন্দবাস এলাকায় গিয়ে লকডাউন ভাঙতে বারণ করে এসেছি। ভিনরাজ্যে থেকে ফিরে আসা যুবকদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু কেউই কথা শুনছেন না। ফলে বাধ্য হয়ে লিখিতভাবে জেলাশাসক থেকে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছি। এব্যাপাবে কৃষ্ণনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অংশুমান রায় বলেন, বিষয়টি শুনে বিডিওর মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। বিডিও মুজিবর রহমান বলেন, আমার কাছে লকডাউন ভাঙার কোনও খবর নেই। খবর পেলেই পুলিস নিয়ে গিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
সূত্রের খবর, করোনার কারণে লকডাউনের আগেই কেরল ও মুম্বই থেকে গ্রামে ফিরেছেন ভালুকা পঞ্চায়েতের প্রায় ১৬৫জন যুবক। বেশিরভাগের বাড়ি আনন্দবাস এলাকায়। তাঁদের হোম কোয়েরেন্টাইনে থাকার কথা। এছাড়া সাতকুলিয়াপাড়া, ভালুকা পশ্চিম পাড়া, সন্তোষপুর প্রভৃতি এলাকায়ও অনেকের বাড়ি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আনন্দবাস এলাকায় বাইরে থেকে আসা কেউই হোম কোয়েরেন্টাইনে থাকছেন না। লকডাউন ভেঙে হাট-বাজার, চায়ের দোকান সবই প্রায় খোলা। জমায়েতও হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে ভুগছেন। পঞ্চায়েত থেকে প্রচারও করা হচ্ছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।