ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
কালনা শহরের কদমতলার ওই যৌনপল্লিতে পাঁচ শতাধিক যৌনকর্মী থাকেন। অনেকে বাইরে থেকে এসে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকেন। কিন্তু দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের এই পরিস্থিতিতে এলাকার মহিলারা নিজেদের সুরক্ষার কথা ভেবে বহিরাগতদের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকতে পল্লিতে যাওয়ার রাস্তার মুখে বাঁশের বেড়া দিয়েছেন। এতে মহিলাদের রোজগার বন্ধ হলেও করোনার সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাওয়াটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন কর্মীরা। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস, কয়েকটি ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এগিয়ে এসেছে। কেউ রান্না করা খাবার, কেউ শুকনো খাবার দিচ্ছে। এলাকার বাড়িওয়ালারাও ওই মহিলাদের কাছ থেকে ঘর ভাড়ার টাকা নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
স্থানীয় দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির সদস্য লতা দত্ত বলেন, প্রতিদিন পল্লিতে বহু বহিরাগত মানুষ আসেন। তাঁদের মধ্যে কারও থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেই আশঙ্কা থেকে বহিরাগতদের ঢোকা বন্ধ করা হয়েছে।
রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ওই এলাকার বাসিন্দাদের খাবারের সমস্যার কথা তাঁরা ফোনে জানিয়েছেন। আমি সাধ্যমতো চাল, আলু, চিঁড়ে, বিস্কুট, সাবান, মাস্ক পৌঁছে দিয়েছি। শিশুদের জন্য দুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শীঘ্রই তা পৌঁছে যাবে। এলাকার কাউন্সিলার সুনীল চৌধুরী বলেন, অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী সাহায্য পাঠিয়েছেন। স্থানীয় যুবকরা রান্না করে খাওয়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। আরও সাহায্যের দরকার।