ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
বাড়ি বাড়ি প্রচার চালানোর জন্য জেলা পরিষদের তরফে মহকুমা ভিত্তিক বৈঠক করে পঞ্চায়েত প্রধানদের আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকেই প্রচার শুরু হয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের নেতৃত্বে আশাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং ভিলেজ হেল্থ স্যানিটেশন অ্যান্ড নিউট্রেশন কমিটির সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করছেন। করোনা সতর্কতায় কী কী করতে হবে এবং কী কী করা চলবে না, সে ব্যাপারে প্রচার করার সঙ্গে লিফলেটও বিলিও করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আদিবাসী এলাকার মানুষদের জন্য অলচিকি ভাষার লিফলেট তৈরি করেও বিলি করা হয়েছে। এই উদ্যোগের পর জেলার ২৩টি ব্লকে জীবাণুনাশক সাবান ও মাস্ক বিলির উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলার মানুষ।
জেলা পরিষদের দাবি, মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচ্ছন্নতা থাকার ব্যাপারে সারা বছরই প্রতি পঞ্চায়েত এলাকায় একাধিক সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হয়। একইভাবে করোনা মোকাবিলায় এখনও মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচ্ছন্নতার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। হ্যান্ডওয়াশ ছাড়াও জীবাণুনাশক সাবান দিয়ে বার বার হাত ধুলে কার্যত একই উপকার পাওয়া যায়। তাই বরাত দিয়ে জেলা পরিষদের তরফ থেকে ৬৩ হাজার জীবাণুনাশক সাবান কেনা হয়েছে। সেই সঙ্গে খণ্ডঘোষের একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দিয়ে ১০ হাজার মাস্ক তৈরি করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পরিষদ ভবন থেকে সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম সহ অন্যান্যদের উপস্থিতিতে ওই সাবান ও মাস্ক সদস্যদের উদ্দেশে পাঠানো হয়। কয়েকজন সদস্য জেলা পরিষদে এসেই নিয়ে যান। তবে, যাঁরা দূরে রয়েছেন, তাঁদের সবার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদে সভাধিপতি, সহকারী সভাপতি, কর্মাধ্যক্ষদের নিয়ে মোট ৫৮ জন সদস্য রয়েছেন। এছাড়াও জেলা পরিষদের মেন্টর এবং কো-মেন্টর রয়েছেন দু’জন। সব মিলিয়ে মোট ৬০ জন রয়েছেন। ওই ৬০ জনকেই সাবান ও মাস্ক দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাঁরা সাধারণ মানুষের হাতে তা তুলে দেবেন।
সভাধিপতি শম্পা ধাড়া বলেন, আমরা জেলা পরিষদের প্রত্যেক সদস্যকে এক হাজার করে ওই জীবাণুনাশক সাবান এবং ১০০টি মাস্ক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের কাছ থেকে পাওয়ার পর ওই সদস্যরা নিজের নিজের এলাকায় করোনা নিয়ে মানুষকে সচেতন করবেন। সেই সঙ্গে ওই সাবান ও মাস্ক বিলি করবেন। তিনি বলেন, আতঙ্কিত না হয়ে সাধারণ মানুষ যাতে সচেতন হন, সে ব্যাপারে প্রচার করারই আমাদের মূল লক্ষ্য। সে জন্যই আমরা সাবান ও মাস্ক দিচ্ছি। মোট ৬৩ হাজার জীবাণুনাশক সাবান এবং ১০ হাজার মাস্ক বিলি করা হবে। পরবর্তী ক্ষেত্রে আমরা আলোচনা করে আরও সাবান ও মাস্ক দেব।