ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে পাটের সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে মুগের চাষ হয়। নাকাশিপাড়ার সুধাকরপুরের চাষি অজিত সরকার বলেন, কৃষি দপ্তরের কথা শুনে গতবার পাটের সঙ্গে মুগের চাষ করেছিলাম। এবারও তাই করব। খুবই লাভজনক এই পদ্ধতি।
এবছরে কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে সারিবদ্ধভাবে পাট বোনার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। নাকাশিপাড়ার সহ কৃষি অধিকর্তা কুসুমকোমল মজুমদার বলেন, পাট চাষের মূল সমস্যা হল আগাছা। পাটের জীবনকালে ১০-৩৫দিন বয়স পর্যন্ত আগাছার প্রভাব বেশি হলে ফলন ব্যাপকভাবে মার খেতে পারে। সারিবদ্ধভাবে বুনলে আগাছা দমনে সুবিধা হবে। এবছর এই পরিস্থিতিতে শ্রমিক পাওয়া মুশকিল। ফলে সারিবদ্ধভাবে বীজ বোনা, নির্দিষ্ট যন্ত্র, নির্দিষ্ট আগাছানাশক ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। মূলত এই লকডাউন পরিস্থিতিতে নিড়ানোর জন্য যত কম মজুর নিয়োগ করা যায় ততই ভালো।
জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা রঞ্জন রায়চৌধুরী বলেন, বাজারে পাট বীজের যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার বীজ বিভিন্ন সমবায়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতি কেজি ৩৬টাকা দরে ওই বীজ পাচ্ছেন কৃষকেরা। খোলা বাজারে সার্টিফায়েড বীজ সর্বোচ্চ ৬০-৭৫ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। কোথাও বীজের দাম নিয়ে কোনও কালোবাজারি হলে কৃষি দপ্তর তা কড়া হাতে দমন করছে বলে তিনি জানান। কৃষি দপ্তর সূত্রের খবর, নদীয়া জেলায় ৮৬ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়। দপ্তরের কর্তারা আশাবাদী, এমন পরিস্থিতির পরেও চাষ খুব একটা কমবে না।