ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের ধারারা ও বিহারের মুঙ্গের থেকে ওই শ্রমিকরা হাওড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার একটি স্টোরে আলু লোডের কাজের জন্য এসেছিল। মুঙ্গেরের বাসিন্দা অজয় পাশোয়ান বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরেই আমরা এই সময়ে আলু লোড করার জন্য কোল্ডস্টোরে আসি। সেই মতো এবারও এসেছিলাম। কিন্তু, লকডাউনের কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দু’দিন পর স্টোর মালিক আমাদের তাড়িয়ে দেয়। তাই থাকা খাওয়ার কোনও উপায় নেই দেখে আমরা রেল লাইন ধরে হাঁটা শুরু করি। কিন্তু, জেলার সীমানা সিল থাকায় পুলিস আমাদের আটকে দেয়। তারপর থেকে চারদিন ধরে আমরা ডাংরা ব্রিজের নীচেই কোনওমতে থাকছিলাম। তবে পাশের গ্রামের লোকজন আমাদের খুব সাহায্য করছেন।
বাঁকুড়ার মহকুমা শাসক সুদীপ্ত দাস বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকরা যে দুই জেলার সীমানায় আটকে ছিল তা কেউ প্রশাসনের নজরে আনেনি। খবর পাওয়ার পরেই আমাদের জেলায় ১৫ জনকে নিয়ে এসে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কাশীপুরের বিডিও সুদেষ্ণা দে মৈত্র বলেন, কয়েকজন গড়বেতা থেকে এসে আটকে পড়েছিলেন। বিষয়টি জানার পর আমরা ১৬জনকে উদ্ধার করে কাশীপুরে নিয়ে আসি। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।