ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
গত শুক্রবার ১৩নম্বর বার্থের এক কর্মীর করোনা ধরা পড়তেই বন্দরের স্থায়ী অস্থায়ী শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে কাজে আসা বন্ধ করে দেন। বন্দরের ম্যানুয়াল কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়। বন্দরের ডকের মধ্যে বিভিন্ন বার্থে জাহাজ দাঁড়িয়ে থাকে। এই পরিস্থিতিতে বন্দরের বিভিন্ন বার্থ, অফিস স্যানিটাইজেশন করে সংক্রমণমুক্ত করা সহ একগুচ্ছ সুরক্ষা সংক্রান্ত আশ্বাস দেওয়ার পর কাজে যোগ দেন শ্রমিকরা।
হলদিয়া বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার(ট্রাফিক) অভয়কুমার মহাপাত্র বলেন, সোমবার বিকেল থেকে ১১নম্বর বার্থে কন্টেনার হ্যান্ডেলিংয়ের মাধ্যমে বন্দরে আংশিক কাজ চালু হয়েছিল। এদিন সকাল থেকে পুরোদমে কাজ চালু হয়েছে। বন্দরের ডক এরিয়ায় ৬টি এবং ৩টি অয়েল জেটি মিলিয়ে মোট ৯টি জাহাজে জোরকদমে কাজ হচ্ছে। তিনি জানান, করোনার জন্য শ্রমিক কর্মচারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্যানিটাইজড করা হলেও ১৩নম্বর বার্থ আপাতত চালু হচ্ছে না। কারণ, ওই বার্থের কার্গো হ্যান্ডেলিং সংস্থার সাইট ইঞ্জিনিয়ার করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর অন্যান্য কর্মী ও ক্রেন অপারেটরদের স্বাস্থ্যদপ্তর ১৪দিন কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে। তবে বাকি বার্থগুলিতে এদিন সকালের সিফ্টে প্রায় ৩০০ শ্রমিক কাজ করেন। বন্দরের বিএমএস নেতা প্রদীপ বিজলি, সিটু নেতা বিমান মিস্ত্রি বলেন, শ্রমিকদের মধ্যে ধীরে ধীরে ভয় কাটছে। আশা করি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্দরের কাজে গতি বাড়বে।
এই পরিস্থিতিতে বন্দরের স্থায়ী শ্রমিকদের দুই গোষ্ঠীর কোন্দলের জেরে সোমবার রাতে বন্দরের ডক থেকে একটি লাইমস্টোন বোঝাই জাহাজ ফিরে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই জাহাজটির ১২নম্বর বার্থে দাঁড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু শ্রমিক কোন্দলের জেরে জাহাজটি ডক থেকে ফিরে প্রায় ১০০কিলোমিটার দূরে স্যান্ডহেডে চলে যায়। বন্দরে জাহাজের সঙ্কটের সময়ে এই ধরনের ঘটনায় হুলস্থূল পড়ে যায়। ক্ষুব্ধ বন্দর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি রাজ্য প্রশাসনকে জানায়। মঙ্গলবার দুপুরে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের নিয়ে আলোচনায় বসেন বন্দরের পদস্থ আধিকারিকরা। বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার অমল দত্ত বলেন, এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। ছোট একটি সমস্যা হয়েছিল। বিষয়টি মিটে গিয়েছে। ওই জাহাজটি ফিরে আসছে।
এদিকে আবার করোনা আতঙ্কে বন্দরে শ্রমিকদের না আসা ঘিরে হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান তথা বন্দরের আইএনটিটিইউসি নেতা শ্যামলকুমার আদকের একটি মন্তব্য নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেই মন্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সোমবার বিকালে জেলাশাসকের সঙ্গে বন্দর পরিদর্শনের সময় তাঁকে দেখা যাচ্ছে, বন্দরের জেনারেল ম্যানেজারদের দিকে তিনি আঙুল তুলে বলছেন, যারা কাজে আসছে না, তাদের গেটপাস রিনিউ করতে গেলে আমাকে জিজ্ঞাসা না করে আপনারা ডিসিশন নিতে পারবেন না, এটা আমি বলে দিচ্ছি। পুর চেয়ারম্যানের এই আচরণে ক্ষুব্ধ শ্রমিক মহল।