বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
কেউ ছোট আড়ম্বরহীনভাবে বিয়ে সারার সিদ্ধান্ত নিলেও অনেকেই টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছেন। বহরমপুরের এক ব্যক্তি বলেন, আমার দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বিয়ে বৈশাখ মাসের শেষের দিকে রয়েছে। সেসময় হয়তো পরিস্থিতি উন্নতি হয়ে যাবে। তাই এখনও কিছু সিদ্ধান্ত ওরা নেয়নি। কী করবে তা নিয়ে বারবার আমার কাছে জানতে চাইছে। ওরা খুব চিন্তার মধ্যে রয়েছে। অনুষ্ঠান করতে হলে কমপক্ষে সাড়ে চারশো লোক আমন্ত্রিত থাকবে। লকডাউন উঠে গেলেও একসঙ্গে এত লোকজন জমায়েত করতে দেবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আবার কাউকে আমন্ত্রণ না করলে রাগারাগি করবে। ক্যাটারিংয়ের ব্যবসা করেন বহরমপুরের কাশিমবাজারের দীপেন পাল। তিনি বলেন, বৈশাখ এবং জ্যৈষ্ঠ মাসেই আমরা অন্যান্যবার সবচেয়ে বেশি কাজ পাই। বিয়ে ছাড়াও অনেক অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠানও থাকে। এবছরও কয়েকজন ফোনে প্রাথমিক কথা বলে রেখেছিল। কিন্তু তারপর আর ওরা ফোন করেনি। নতুন করে অর্ডারও পাইনি। অনেকে বিয়ের দিন পিছিয়ে দিচ্ছে। এমনও হয়েছে একজনের বৈশাখ মাসে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, তিনি পিছিয়ে অগ্রহায়ণ মাসে করছেন। কেউ কেউ বৈশাখে বিয়ে করলেও তাঁরা তেমন খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করতে চাইছেন না। ব্যবসার অবস্থা খুব খারাপ। অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠানও পিছিয়ে যাচ্ছে। ছানা ব্যবসায়ী মটর ঘোষ বলেন, বিয়েতে অনেকেই বাড়িতে মিষ্টি তৈরি করেন। তারজন্য ৬০কুইন্টাল, ৭০ কুইন্টাল পর্যন্ত ছানার অর্ডার দিয়ে রাখেন। অনেকে অর্ডার দিয়েছিলেন, তাঁরা বাতিল করে দিয়েছেন। অধিকাংশই বিয়ের দিন পিছিয়ে দিচ্ছেন। যাঁরা এই পরিস্থিতিতেও বিয়ের কথা ভাবছেন তাঁরা হয়তো অনুষ্ঠান করবেন না। দোকান থেকে মিষ্টি এনেই কাজ সারবেন।
প্রসঙ্গত, যাঁদের অনেক আগে থেকে দিন ঠিক হয়েছিল তাঁরাই সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন। তাঁদের কেউ কেউ মন্দিরে পুজো দিয়ে বিয়ে করার কথা ভাবছেন। মুর্শিদাবাদের পুলিস সুপার অজিত সিং যাদব বলেন, লকডাউন বা ১৪৪ধারা জারি থাকলে বেশি লোকজন জমায়েত করা যাবে না। এই পরিস্থিতিতে ঘুম ছুটেছে হবু বর-কনেদের। তাঁদের কেউ কেউ সান্ত্বনা দিয়ে বলছেন, বিয়ের দিন আসার আগে সব ঠিক হয়ে যাবে। চিন্তার কিছু নেই।