বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
অতিরিক্ত জেলাশাসক( সাধারণ) প্রণববাবু বলেন, দুই বোন ১ লক্ষ টাকা ত্রাণ তহবিলে দিয়েছেন। অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ। আমার বিশ্বাস, তাঁদের এই উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই এগিয়ে আসবেন।
মঙ্গলবার দুপুরে গৌরহরিবাবু বলেন, দুই মেয়েই এখন কলকাতায় রয়েছে। লকডাউনের জেরে তারা কেউ বাড়ি আসতে পারেনি। বেশ কয়েকবছর আগে ওরা দু’জনে কন্যাশ্রীর টাকা পেয়েছিল। ছোট মেয়ে গত বছর জানুয়ারিতে মেধাবৃত্তির টাকা পেয়েছিল। ওরা কেউ সেই টাকা খরচ করেনি। পরে, ওই টাকা দিয়ে ওদের হয়তো কিছু করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু, এখন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সাহায্যের জন্য সবস্তরের মানুষ এগিয়ে আসছেন। কয়েকদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একজন ছাত্রী কন্যাশ্রীর ২৫ হাজার টাকা দান করে। সংবাদ মাধ্যমে ওরা তা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেরাও কন্যাশ্রী আর মেধাবৃত্তির টাকা ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। মেয়েরা বিষয়টি আমাকে জানায়। আমিও তাতে রাজি হয়ে যাই। ওদের ইচ্ছা ছিল, ওরা নিজেরা জেলা প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে চেক দিয়ে আসবে। কিন্তু, এই পরিস্থিতিতে সেটা আর সম্ভব নয়। তাই স্যুইমিং পুল অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে আমি মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিয়েছি।
তিনি বলেন, দুই মেয়ের এই উদ্যোগে আমি গর্বিত। ওদের ইচ্ছা, কন্যাশ্রী চাকরিজীবীরা যেন এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসে।
অন্যদিকে, অতিরিক্ত জেলাশাসক(সাধারণ) প্রণব বিশ্বাসের হাতে মঙ্গলবার ফটোগ্রাফি অ্যাসোসিয়েশন অব মেদিনীপুর নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের জন্য ১০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।