বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পঞ্চায়েতের বাড়ি প্রসঙ্গে দলের নেতাদের মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ২৮ হাজার বাড়ি এসেছে। যদি কোনও পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতি, পঞ্চায়েত কর্মী বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা চায় তাহলে আমি বলে দিয়ে গেলাম, তাকে বেধড়ক মারবেন। তার সঙ্গেই তিনি বলেন, আমি মোট ১ লক্ষ ১০০০ বাড়ি দিয়েছি। যদি কেউ ভাবে, এই বাড়ি থেকে টাকা নেব, আমি আপনাদের বলছি, দলবদ্ধ হয়ে তার বাড়িতে চড়াও হবেন। তাকে বেধড়ক পেটাবেন, থানায় ভরে দেবেন। যদি কোনও নেতা টাকা চায় তাহলে আমাকে ফোন করবেন। বোলপুরে পার্টি অফিসে যোগাযোগ করবেন। তাকেও থানায় ভরে দেব।
পাশাপাশি জনসভায় উপস্থিত মানুষকে অবগত করে অনুব্রতবাবু বলেন, প্রত্যেক এলাকায় রেশন ডিলাররা প্রতি সপ্তাহে রেশন দ্রব্য দিতে বাধ্য। কেউ এক সপ্তাহ নিতে না পারলে, পরের সপ্তাহে একসঙ্গে দু’সপ্তাহের দ্রব্য নিতে পারবে। যদি কোনও রেশন ডিলার এইভাবে মাল দিতে না চায় তাহলে পুলিসে জানাবেন। কাজ না হলে সরাসরি আমাকে জানাবেন। আমি তার ব্যবস্থা করে দেব।
অন্যদিকে সিএএ ও এনআরসি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আগাগোড়াই আক্রমণ করে যান তিনি। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বিজেপিকে আক্রমণ করে হুঁশিয়ারি দিয়ে অনুব্রতবাবু বলেন, একটা গাছে জানেন তো কয়েকটা ডালপালা এদিকে ওদিকে বেরিয়ে থাকে। সেগুলিকে আগাছা বলে। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, তোমার পশ্চিমবাংলায় যারা আছে তারা আগাছা। মাঝে মাঝে ডাল ছাঁটতে হয়। ডালের যদি আকার বেশি হয় ডালটাকে ঝুড়তে হয়। এটা মনে রাখবেন। আমরা মানুষকে পরিষেবা দিই। এদিনের জনসভায় মানুষের ভিড় দেখে অনুব্রতবাবু আহমদপুর তৃণমূল নেতৃত্বের উপর খুশি হন।
অনুব্রতবাবুর আক্রমণ প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, বিজেপি অশান্তি বিশ্বাস করে না। তবে, তৃণমূলের এই হুমকির মোকাবিলা করতে পারবে।