বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের চন্দ্র কলোনির কাছে নবদ্বীপ-বাবলারি রোডে আবর্জনার ফেলার একটি ভাগাড়ে জঞ্জালে আগুন লাগে। রাত বাড়তেই ওই আগুনের দূষিত ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার জেরে রাতেই এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা রাস্তায় নেমে ঘটনার প্রতিবাদ করেন। উত্তেজনা বাড়তে থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নবদ্বীপ থানার বিশাল পুলিস বাহিনী এবং দমকল। রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছান নবদ্বীপ পুরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই ভাগাড়ে মাঝে মাঝে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এজন্য পুরসভাকে বহুবার বলেও কোনও লাভ হয়নি।
ভাগাড়ের একদিকে নবদ্বীপ থেকে বাবলারি গ্রাম পঞ্চায়েতে যাওয়ার প্রধান রাস্তা। অন্যদিকে, নবদ্বীপ অন্যতম ব্যস্ত রেল স্টেশন বিষ্ণুপ্রিয়া হল্ট। বাবলারি গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াতের প্রধান রাস্তার পাশে এই ভাগাড়। এখান থেকে দূষণ ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ। তারমধ্যে আবর্জনায় আগুন দিয়ে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুব্রত দেবনাথ বলেন, এখন অনেক বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে আবর্জনা বিভিন্ন কাজে লাগানো হয়। পুরসভা তেমন কিছু ব্যবস্থা নিক। বিষয়টি নিয়ে নবদ্বীপের পুরপ্রধান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, যতদূর মনে হয়, যারা কাগজ কুড়ায় তারাই একাজ করেছে। কোনও সময়ে আগুন লাগিয়েছে যা পরে হাওয়ায় এভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। রাত থেকেই তিনটে দমকল ইঞ্জিন আগুন নেভায়। তিনটি পে লেডার আবর্জনা স্তূপ সরানোর কাজ করছে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
অন্যদিকে, এলাকা থেকে ভাগাড় অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে শনিবার দুপুরে আন্দোলনে নামে বিজেপি। বিজেপি নেতা জীবনকৃষ্ণ সেন বলেন, এক সময় ওই এলাকায় জনবসতি ছিল না। নবদ্বীপ শহরের প্রান্তে ওই এলাকায় শহরের জঞ্জাল ফেলা হতো। ক্রমে সেটি ভাগাড়ে পরিণত হয়। কিন্তু, এখন ওই এলাকা জনবসতি পূর্ণ। বিষ্ণুপ্রিয়া হল্ট স্টেশন দিয়ে শহরের বিরাট সংখ্যক পর্যটক যাতায়াত করেন। আমাদের দাবি, ভাগাড় অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হোক।
বিমানকৃষ্ণবাবু বলেন, এসব কথা শুধুমাত্র রাজনীতি করার জন্যই বলছে বিজেপি। খুব তাড়াতাড়ি ওখানে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট পরিকল্পনা রূপায়িত হতে চলেছে। তখন এসব সমস্যা আর থাকবে না।