দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
একটা সময় রামপুরহাট হাসপাতালের পরিষেবার বেহাল দশা সর্বজনবিদিত। রাজ্যে পালাবদলের পর ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ রামপুরহাট হাসপাতালকে স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৎপরতায় একের পর এক ইউনিট গড়ে ওঠে। চালু হয় এসএনসিইউ, সিসিইউ, ডায়ালিসিস ইউনিট, পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্র সহ একাধিক বিভাগ। উন্নতমানের যন্ত্র এনে আধুনিকীকরণ করা হয় ল্যাবরেটরির। যার ফলস্বরূপ হাসপাতালের ল্যাবরেটরির মাথায় যুক্ত হয় পালক। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভেলোরের সিএমসি হাসপাতালের ‘কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স মেনটেন’ শংসাপত্র পায় হাসপাতালের ল্যাবরেটরি বিভাগ। অর্থাৎ এই ল্যাবরেটরির প্যাথলজি, মাইক্রো বায়োলজি এবং বায়োকেমিস্ট্রি পরীক্ষাগুলির রিপোর্ট ভেলোর হাসপাতালের ল্যাবের সমতুল্য।
পরবর্তী সময়ে এই হাসপাতাল ক্যাম্পাসে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়। সম্প্রতি সেই ঝাঁ চকচকে ও সমস্ত ধরনের পরিকাঠামো সহ হাসপাতালটি মেডিক্যাল কলেজ হিসেবে চালু হয়েছে। ফলে, রোগীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে দেরি হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসায় বিলম্ব ঘটছে। তাই কিছুদিন আগে ল্যাবের উন্নতির জন্য রোগী কল্যাণ সমিতিতে ‘থার্ড জেনারেশন অটো অ্যানালাইজার রোবোটিক আর্ম মেশিন’ আনার জন্য প্রস্তাব দেন কৃষিমন্ত্রী। সেইমতো হাসপাতালে এসে পৌঁছয় মেশিনটি। এদিন সেই মেশিনঘরের ফিতে কেটে কম্পিউটার চালিয়ে উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী।
এমএসভিপি বলেন, এই মেশিনের দু’টি রোবোটিক আর্ম(হাত) রয়েছে। এছাড়া মেশিনে বিভিন্নরকমের কেমিক্যাল রাখার জায়গা আছে। রোবোটিক হাত দু’টি সেই স্যাম্পেল ধরে কম্পিউটারে লোড করা প্রোগাম অনুযায়ী নির্দিষ্ট কেমিক্যাল নিয়ে পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেবে। তিনি বলেন, এরফলে দ্রুত রিপোর্ট হাতে পাওয়া যাবে এবং একসঙ্গে ৭৬টি স্যাম্পেলের পরীক্ষা করা যাবে। একঘণ্টায় ৮০০ টেস্ট করা যাবে এবং কোয়ালিটি মেনটেন হবে। তিনি বলেন, প্যানক্রিয়াটাইটিস, হার্টের অসুখের জন্য সিকেএমডি পরীক্ষা, লিপিড প্রোফাইল, টোটাল প্রোটিন, সিআরপি, এএসও, রিমোটাল ফ্যাক্টর, ব্রেনের জলের প্রোটিন, সুগার কন্ট্রোলের এইচবিএওয়ানসি সহ ১৫ রকমের টেস্ট এই মেশিনের সাহায্যে করা হবে। এতদিন যেগুলি পরীক্ষার জন্য বর্ধমানে পাঠাতে হতো। এরফলে প্রচুর রোগী উপকৃত হবেন। পরিষেবারও উন্নতি ঘটবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে রোগী কল্যাণ সমিতিতে এই মেশিন আনার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। মানুষের কথা ভেবে মুখ্যমন্ত্রী সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছেন। এই মেডিক্যাল কলেজে একের পর এক পরিষেবা চালু করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।