বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
প্রসঙ্গত, কান্দিতে রেলপথের দাবিতে কান্দি রেলওয়ে সংযুক্তকরণ কমিটি প্রায় ৩২বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। প্রায় তিন হাজার কমিটির সদস্য নিয়ে বিভিন্ন সময় ধর্না-অবস্থান করা হয়। এলাকার চৌরিগাছা স্টেশনে প্রায় ৪৫দিন ধরে রিলে অনশন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। এমনকী দিল্লির যন্তরমন্তরে দাবি জানিয়ে অনশন কর্মসূচি করা হয়েছে। এমনকী সম্প্রতি কান্দিতে রেলপথের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে এই এলাকা থেকে প্রায় ৫০ হাজার পোস্টকার্ড পাঠানো হয় বলে কমিটির পক্ষ থেকে দাবিও করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেলমন্ত্রী থাকাকালীন পূর্ব রেলের কাটোয়া-আজিমগঞ্জ শাখার চৌরিগাছা থেকে সাঁইথিয়া পর্যন্ত প্রায় ৫৬.২ কিলোমিটার রেল লাইনের প্রস্তাব তাঁর রেল বাজেটে করেছিলেন। তার জন্য পরবর্তী সময়ে টাকাও বরাদ্দ হয়। সাঁইথিয়া ভায়া কান্দি হয়ে চৌরিগাছা পর্যন্ত নতুন রেল লাইনের জন্য সার্ভে করা হয়। বর্তমান লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী রেল প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর কাছে কমিটির সদস্যরা দরবার করেন রেলপথের দাবিতে। কিন্তু, ওই রেল লাইনের কাজ কোনও কারণে স্থগিত হয়ে যায়। তারপর থেকেই এই রেল কমিটি তাদের আন্দোলন আরও জোরদার করে।
ওই কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় একমাস আগে রাজ্যপালের কাছে দেখা করার অনুমতিপত্র পাঠানো হয় কান্দির রেল কমিটির পক্ষ থেকে। সেইমতো কয়েকদিন আগে সেই চিঠির জবাব আসে কমিটির কাছে। সেখানে বলা হয়, কমিটির পাঁচজন সদস্য রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। সেই হিসেবে ওইদিন কমিটির সম্পাদক প্রভাতবাবু ছাড়াও কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি মধুসূদন মজুমদার সহ পাঁচজন দেখা করতে যান।
এবিষয়ে কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি মধুসূদনবাবু বলেন, রাজ্যপাল আমাদের আশ্বস্ত করে কান্দিতে রেলের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। আমরা গর্ববোধ করছি যে, রাজ্যপালকে এই এলাকার বাসিন্দাদের অসুবিধার কথা বোঝাতে পেরেছি। আগামী দিনে রেলমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী সহ দেশের বিভিন্ন পদাধিকারীদের সঙ্গে দেখা করে কান্দিতে রেলপথের দাবি তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি নদীয়া, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় ভিত্তিক আন্দোলন চলবে।
কান্দি প্রধানত কৃষি ভিত্তিক এলাকা। তবে ৬০এর দশকে কান্দির ছোট রাজাবাবু বলে পরিচিত প্রয়াত অতীশচন্দ্র সিংহ এলাকায় প্রথম রেলপথের দাবি তুলেছিলেন। পরে প্রয়াত এবিএ গনিখান চৌধুরী এলাকার সালার থেকে রামপুরহাট পর্যন্ত একটি প্রস্তাবিত রেলপথের কথা তাঁর বাজেটে ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু, আজ পর্যন্ত কান্দিতে রেলপথ না হওয়ায় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে।