বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গত ১৪অক্টোবর বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের বরুণা গ্রামের তৃণমূল নেতা বসুদেব মণ্ডল খুন হন। সেই খুনের ঘটনায় বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামের ১৯জন বিজেপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর হয়। কিন্তু, ১৩জন অভিযুক্ত এখনও ঘরছাড়া। গত ১৩জানুয়ারি ওই ঘটনায় চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিস। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি সত্ত্বেও অভিযুক্তরা পুলিসের সঙ্গে সহযোগিতা না করায় পুলিস আদালতে হুলিয়া জারির অনুমতি চায়। সিজেএম সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। ৮জানুয়ারির মধ্যে অভিযুক্তদের আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাবলিক প্লেসে সে-নিয়ে পোস্টার সাঁটায় পুলিস। কিন্তু, ৮তারিখ অবধি কোর্টে হাজির না হওয়ায় ওই দিন সন্ধ্যায় অলোক বেরা এবং সম্রাট সামন্তের বাড়ি থেকে জিনিসপত্র ক্রোক করে থানায় আনে পুলিস।
এর বিরুদ্ধে ১০জানুয়ারি হাইকোর্টে যায় বিজেপি। জিনিসপত্র ক্রোক করার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে সেসব জিনিসপত্র ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। সেইমতো এদিন সন্ধ্যায় সমস্ত জিনিসপত্র ফেরত দেয় পুলিস।
এব্যাপারে তমলুকের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস বলেন, হাইকোর্ট থেকে জিনিসপত্র ফেরত দেওয়ার নির্দেশ আসে। সেই মতো দু’জনের বাড়ি থেকে ক্রোক করার জিনিসপত্র ফেরত দেওয়া হয়েছে।
বিজেপির জেলা সহ সভাপতি আশিস মণ্ডল বলেন, পুলিস তৃণমূল নেতাদের কথামতো কাজ করছে। সেজন্য আইনের তোয়াক্কা না করে যা খুশি তাই করছে। প্রথমত, আমাদের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা এনেছে। তারপর বেআইনিভাবে বাড়ি থেকে জিনিসপত্র নিয়ে চলে গিয়েছে। এখন নিজেরাই সেসব বাড়ি বয়ে দিয়ে এসেছে। শাসকের তাঁবেদারি করলে পরিমাণ কী হয়, এখন সেটা বুঝতে পারছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিস।