বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
উল্লেখ্য, ২০১৩-’১৪সাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিশ্বব্যাঙ্কের টাকায় ক্ষুদ্র সেচের কাজ শুরু হয়। এজন্য রাজ্য পেয়েছিল ১৩৮০কোটি টাকা। বিভিন্ন জেলায় এজন্য প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন ইউনিট(পিআইইউ) খোলা হয়। তমলুকে ধারিন্দা রেলগেট সংলগ্ন এগ্রি-ইরিগেশন অফিস ক্যাম্পাসে রয়েছে পৃথক ওই ইউনিটের অফিস। যদিও কৃষি-সেচ বিভাগের তমলুক ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সদানন্দ পাল ওই ইউনিটের ইন-চার্জ হিসেবে আছেন। ওই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য করে নিকাশি নালা এবং পুকুর কেটে জল সংরক্ষণের উপর জোর দেওয়া।
কৃষি-সেচ দপ্তরের তমলুক ডিভিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রাম-১ব্লকে পাঁচটি নিকাশি নালা এবং তিনটি পুকুর ও নন্দীগ্রাম-২ব্লকে ১৬টি নিকাশি নালা খননের মাধ্যমে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করা হবে। এজন্য মোট খরচ হবে ৬কোটি ৯৭লক্ষ টাকা। এজন্য আর্থিক সহায়তা করেছে বিশ্বব্যাঙ্ক। নন্দীগ্রাম-১ব্লকে মোট ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত আছে। নন্দীগ্রাম-১ব্লক এলাকা মূলত একফসলি। নন্দীগ্রাম-২ব্লকের কিছু মৌজার ছবিটাও একইরকম। এই অবস্থায় গোটা নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকাকে দোফসলি হিসেবে গড়ে তুলতে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী তৎপর হয়েছেন।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কাঁথি-১ ও ২, দেশপ্রাণ, রামনগর-১ ও ২, পটাশপুর-১ ও ২, এগরা-২, খেজুরি-১ ও ২, নন্দীগ্রাম-১ ও ২ এবং ভগবানপুর-১ ও ২ ব্লক এলাকায় জলসংরক্ষণের কাজ হবে। এমনিতেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বেশ কয়েকটি ব্লকে ভূগর্ভস্থ জলস্তরের অবস্থা শোচনীয়। জলস্তর অবস্থানের নিরিখে পাঁশকুড়া ক্রিটিক্যাল ব্লক হিসেবে চিহ্নিত। এছাড়াও ভগবানপুর-২, এগরা-১ ও ২ এবং পটাশপুর-১ ও ২ব্লক সেমি-ক্রিটিক্যাল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। জেলায় ২৫টি ব্লকের মধ্যে ১৬টি ব্লকের মাটির তলার জল লবণাক্ত। এই অবস্থায় জল সংরক্ষণের উপর জোর দিতে জেলায় একসঙ্গে ১৪টি ব্লকে বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় খাল ও পুকুর খননের কাজ শুরু হচ্ছে।
নন্দীগ্রাম-১ ও ২ব্লক ছাড়াও সম্প্রতি জেলায় আরও ২৮টি পুকুর কাটার জন্য কৃষি-সেচ বিভাগের তমলুক ডিভিশন রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। তাতে খরচ হবে প্রায় এক কোটি টাকা। বিশ্বব্যাঙ্কের টাকায় আদমি প্রকল্পের মাধ্যমে জেলায় ক্ষুদ্র সেচের মাধ্যমে সেচসেবিত এলাকা বৃদ্ধি এবং একফসলি জমিকে দোফসলি করা হবে। সেই সঙ্গে মাছচাষেও অনেকেই স্বনির্ভর হতে পারবেন। বিপুল সংখ্যক মানুষের রুজি-রুটি নির্ভর করবে ওই প্রকল্পের সঙ্গে। কৃষি-সেচদপ্তরের তমলুক ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বলেন, মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে পাঁচটি নিকাশি খাল ও তিনটি পুকুর এবং নন্দীগ্রাম-২ব্লকে ১৬টি নিকাশি খাল খনন কাজের শুভ সূচনা করবেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। দপ্তরের আর এক ইঞ্জিনিয়ার বলেন, এজন্য মোট ৬কোটি ৯৭লক্ষ টাকা খরচ হবে। বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক খরচে ওই কাজের ওয়ার্ক অর্ডারও ইস্যু করা হয়েছে।