বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
শুক্রবার হলদিয়ার টাউনশিপে বন্দরের বি বি ঘোষ অডিটরিয়ামে এই উৎসবের সূচনা করেন কথাসাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ। ক্যানভাসে মৈত্রীর ছবি এঁকে উৎসবের সূচনা করেন তিনি। একই সঙ্গে বটগাছে জলসিঞ্চন এবং নৃত্য ও গীতি আলেখ্যর মধ্য দিয়ে আকর্ষণীয় করে তোলা হয় উদ্বোধনীপর্ব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কথা সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ, সমুদ্র বিজ্ঞানী ও প্রাক্তন উপাচার্য আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়, প্রবীণ কবি প্রণবকুমার মুখোপাধ্যায়, সাহিত্যিক অমর মিত্র, কবি শ্যামলকান্তি দাস, উৎসবের সভাপতি সাহিত্যিক নলিনী বেরা প্রমুখ।
এদিন শীর্ষেন্দুবাবু ও নলিনীবাবু নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ করেন। শীর্ষেন্দুবাবু বলেন, মানুষকে যেভাবে নাগরিকত্ব আইনের নাম করে আশ্রয়হীন করে দেওয়া হচ্ছে, তা খুবই লজ্জাজনক ঘটনা। নলিনীবাবু বলেন, যাঁদের অনুপ্রবেশকারী বলে দেগে দেওয়া হচ্ছে, তাঁরা ভারতবর্ষেরই অধিবাসী ছিলেন। তাঁদের অনুপ্রবেশকারী বলে জোর করে বাইরে তাড়িয়ে দেওয়া একদমই ঠিক নয়। আমরা এই আইন মানি না।
উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক লক্ষ্মণবাবু বলেন, কবি তমালিকা পণ্ডাশেঠ কবিতা উৎসবের সূচনা করেছিলেন। সেই উৎসবই এখন হয়েছে বিশ্ব সাহিত্য ও সংস্কৃতি উৎসব। ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনদিন ধরে কবিতা, গল্প, সহ সাহিত্যের বিভিন্ন ধারা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বাংলার বিভিন্ন গানের ধারা, নাটক ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও দেশ বিদেশের বাংলা ভাষার চার শতাধিক কবি উৎসবে যোগ দিয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে পঁচিশজন কবি, গল্পকার এসেছেন।
এদিন বিকালে দ্বিশতবর্ষে বিদ্যাসাগর নিয়ে আলোচনা করেন আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়। গানে মাতিয়ে দেন কাশ্মীরের চিকিৎসক ও গায়ক শাহনওয়াজ আসিম। সাহিত্যপাঠের পাশাপাশি এদিন অখণ্ড মেদিনীপুরের কবি দেবাশিস প্রধান, সাহিত্যিক নরেশ জানা, ক্ষুদ্র সংবাদপত্রের সম্পাদক পিকাশপ্রতিম মাইতি ও লিটল ম্যাগাজিন ‘প্রতিকথা’র সম্পাদক বিরুপাক্ষ পণ্ডাকে ‘আপনজন’ স্মারক সম্মাননা প্রদান করা হয়। এদিন দিনভর হলদিয়ার নামী শিল্পীদের নিয়ে চিত্রশিল্পের কর্মশালা হয় উৎসব চত্বরে। সেখানে ছিলেন শ্যামল জানা, শোভন দাস, বিশ্বজিৎ মণ্ডল, দিলীপ গুছাইত সহ ২০ জন শিল্পী।