বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিতকুমার দেওয়ান বলেন, প্রকাশ্যে ধূমপান ঠেকাতে আমরা আগে বিভিন্ন শহরে অভিযান চালিয়েছি। এবার আমরা ব্লকে ব্লকে অভিযান চালাব। সঙ্গে গুটখা, পানমশলা বন্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সঙ্গে এই সংক্রান্ত সচেতনতার প্রচারও হবে। আগে আমরা ব্লক ধরে ধরে প্রচার করব। এরপর আমরা জরিমানা আদায়ের পথে হাঁটব।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, এরজন্য ব্লকস্তরে ‘ব্লক লেভেল কোঅর্ডিনেশন কমিটি’ এবং ‘ব্লক লেভেল এনফোর্সমেন্ট কমিটি’ রয়েছে। যার মাথায় থাকেন বিডিও, বিএমওএইচরা। বিএমওএইচদের বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তবে সকলকেই বলা হয়েছে, আগে প্রয়োজনীয় সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। তারপরে অভিযানে নামতে হবে। অসিতবাবু বলেন, যেটুকু সম্ভব এই কাজে অর্থও বরাদ্দ হয়েছে।
এদিকে, কৃষ্ণনগরে এখনও রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে গুটখা, পান মশলা। অথচ রাজ্যে এই সবকিছুই বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একাধিক জায়গায় পানমশলা, গুটখার পসরা সাজিয়ে রয়েছেন বিক্রেতারা। চলছে দেদার বিক্রিও। গত বছর সাত নভেম্বর থেকেই গুটখা, পান মশলার বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু গোটা কৃষ্ণনগর শহরে প্রাকাশ্যেই বিক্রি হতে দেখা গেল গুটখা, পান মশলা। শহরের এক ব্যবসায়ী বলেন, চায়ের দোকানের সঙ্গে পান মশলা, গুটখা বিক্রি করে কোনও রকমে সংসার চলে। এই ব্যবসা বন্ধ করলে কী হবে! আর এক ব্যবসায়ী বলেন, মজুত করা গুটখা বা পানমশলা বিক্রি করতেই হবে। না হলে মহাজনের টাকা মেটাব কী দিয়ে! খুব কড়াকড়ি হলে, পড়ে নয় আর বিক্রি করব না। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, এবিষয়ে যা করার স্বাস্থ্য দপ্তকেই করতে হবে। জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, মানুষ যাতে সচেতন হয় তারজন্য আমরা চেষ্টা করছি। অভিযানও বাড়ানো হবে। আমাদের উদ্দেশ্যে মানুষকে সতেজ সুস্থ রাখা।