বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ফের রেলের অসময়ে বড় ভরসা হয়ে সামনে এসেছে পূর্ব ভারতের একমাত্র রেল ইঞ্জিন কারখানা চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস। সংসদ অধিবেশনেই উঠে এসেছে রেলের দৈন্য দশা। রেল চালিয়ে যা আয় হচ্ছে, তার বেশিরভাগই খরচ হয়ে যাচ্ছে। যার জেরে ঘাটতির সৃষ্টি হচ্ছে। তাই রেল চালানোর খরচ কমানো আবশ্যক। তখনই মুশকিল আসান হিসেবে সামনে এসেছে ১০ বছর আগে সিএলডব্লুর তৈরি বিশেষ প্রযুক্তি। ২০১০ সালে ডব্লুএপি ৭ গোত্রের লোকো ৩০২৭৭ নম্বরের একটি ইঞ্জিন প্রস্তুত হয়। সেখানে এইচওজি কনভার্টার টেকনোলজি থাকার জন্য ওই রেলে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য অতিরিক্ত কোনও জেনারেটর কার ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না। যদিও সেই সময় এই প্রযুক্তিকে আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কিন্তু, খরচ কমাতে এখন এটিই হাতিয়ার করছে ভারতীয় রেল। এই ইঞ্জিন ব্যবহারের জেরে এক ঢিলে বহু পাখি মারতে চাইছে রেল।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও রেকে জেনারেটর কার বা পাওয়ার কার চালাতে গেলে ঘণ্টায় ৬০ লিটার ডিজেল প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে তার সাশ্রয় হবে। তার পরিবর্তে যাত্রী পরিষেবার মান বাড়ানো সম্ভব। এতে একদিকে রেলের খরচ কমবে, তেমনই আয়ও বাড়বে। অন্যদিকে, পরিবেশ বান্ধব স্টেশন, পরিবেশ বান্ধব রেল যাত্রার উপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে এই প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তিতে জেনারেটর ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নেই। তাই জেনারেটর থেকে যে বিপুল পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত হতো, তা হবে না। এর পাশাপাশি জেনারেটর বা পাওয়ার কারের শব্দদূষণ থেকেও রেহাই মিলবে যাত্রীদের।
রেলের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, এই প্রযুক্তির সর্বত্র ব্যবহার শুরু হলে প্রতি বছর প্রায় ১১০০ কোটি টাকা খরচ বাঁচাতে পারবে রেল। যা এই অর্থনৈতিক অবস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সিএলডব্লু সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও ১৮১টি এইচওডি প্রযুক্তি সম্বলিত ইঞ্জিন প্রস্তুত করা হয়েছে। তার মধ্যে এবছরই এখনও পর্যন্ত ৩৫টি করা হয়েছে।
সিএলডব্লুর জনসংযোগ আধিকারিক মন্তার সিং বলেন, ২০১০ সালে প্রথম এই প্রযুক্তির লোকো ইঞ্জিন প্রস্তুত করেছিল সিএলডব্লু। চাহিদা অনুযায়ী এই ইঞ্জিন প্রস্তুত করা হচ্ছে। বারাণসী ও দিল্লিতেও এখন এই ইঞ্জিন প্রস্তুত হচ্ছে।
পূর্ব রেলের প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ভাগলপুর-আনন্দবিহার বিক্রমশীলা এক্সেপ্রেস, হাওড়া-বোলপুর শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস, হাওড়া-ধানবাদ কোলফিল্ড এক্সেপ্রেস, হাওড়া-আসানসোল অগ্নিবীণা এক্সেপ্রেস, হাওড়া-মালদহ ইন্টারসিটি এক্সেপ্রেস, বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জারে এই প্রযুক্তির ইঞ্জিন ও রেক ব্যবহার হচ্ছে।