বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিন সকাল থেকেই বিশ্বভারতীতে ব্যাপক নিরাপত্তার ঘেরাটোপের ব্যবস্থা করা হয়। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, কর্মসচিব আশা মুখোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন ভবনের অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা রাষ্ট্রপতি তথা বিশ্বভারতীর পরিদর্শক রামনাথ কোবিন্দ ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে আম্রকুঞ্জের জহর বেদিতে স্বাগত জানান। সমাবর্তন উপলক্ষে বেদির বাঁদিকে কর্মী-অধ্যাপকদের জন্য চেয়ারে বসার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু দেখা যায় সেই চেয়ারের অধিকাংশই ফাঁকা পড়ে রয়েছে। যা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। কর্মিসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একাধিকবার উপাচার্যের সঙ্গে কর্মীদের মতবিরোধ হয়েছে। যার জেরে সমাবর্তন নিয়ে কর্মীদের একাংশের মধ্যে উৎসাহ ছিল না। তবে কর্মিসভার দাবি, সমাবর্তনে কাউকে যেতে বারণ করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানের প্রধানের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধের ফলে কর্মীদের সঙ্গে তিক্ত সম্পর্কের জেরেই তাঁরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুষ্ঠানে গরহাজির ছিলেন।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে সপ্তম পে কমিশনের বকেয়া টাকার দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন চলে বিশ্বভারতীতে। উপাচার্যের কাছে সেব্যাপারে বারবার জানিয়েও কোনও কাজ না হওয়ায় কর্মীরা কর্মবিরতি পালন করেন। প্রায় ১৫দিন ধরে সমস্ত ধরনের প্রশাসনিক কাজ স্তব্ধ হয়ে যায়। সেই সমস্যা মিটে যাওয়ার পর কর্মীরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেন। কর্মীদের দাবি, কর্মবিরতির আন্দোলনের সময় সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার অপরাধে দুই কর্মীকে ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যত্র বদলি করে দিয়েছেন উপাচার্য। সেবিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েও ব্যাপক অশান্তি হয়। নিজের দপ্তরে দীর্ঘক্ষণ তালাবন্ধ অবস্থায় থাকতে হয় উপাচার্যকে। যদিও সেক্ষেত্রে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও কর্মিসভা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল। সেই থেকেই কর্মীদের একাংশের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে উপাচার্যের। এমনই জল্পনা শান্তিনিকেতনজুড়ে।
কর্মিসভার অন্যতম সদস্য গগন সরকার বলেন, কর্মীদের প্রতি উপাচার্যের দুর্ব্যবহারের ফলেই অনেকে অনুষ্ঠানে যাননি। উৎসব অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে মন থেকে যে ইচ্ছে আসে তা না থাকায় যাননি তাঁরা। তবে এবিষয়ে কাউকে বারণ করা বা আটকানো হয়নি। যার ইচ্ছে হয়েছে তিনি গিয়েছেন। যদিও কর্মী-অধ্যাপকদের একাংশের অনুপস্থিতির ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার বলেন, সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কোনও ঝামেলা হয়নি, সুষ্ঠুভাবে সমাবর্তন সম্পন্ন হয়েছে। কেউ কেউ হয়তো ব্যক্তিগত কারণে আসতে পারেননি।