বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিতকুমার দেওয়ান বলেন, কৃষ্ণনগরে জরিমানা আদায় শুরু হয়েছে। প্রকাশ্যে ধূমপান করলেই জরিমানা দিতে হবে। এই অভিযান চলবে। প্রকাশ্যে ধূমপান বরদাস্ত করা হবে না। জানা গিয়েছে, এদিন কৃষ্ণনগরে ৩৯ জনের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তাঁদের সকলেই প্রকাশ্যে ধূমপান করছিলেন। তাঁদের হাতেনাতে ধরে ফেলে অভিযানে নামা দলটি। ধরা পড়ার পর এক একজনের কাছ থেকে এক এক রকম জরিমানা আদায় করা হয়। তবে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
আকাশদীপবাবু’র দাবি, এনিয়ে সচেতনতার প্রচার আগেই হয়েছে। এদিন অভিযানে নামা হয়। তিনি বলেন, আমরা শক্তিনগর এবং সদর দুই হাসপাতাল চত্বরেই এদিন গিয়েছিলাম। জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি, এ নিয়ে যতটা সম্ভব সচেতন করার চেষ্টাও আমরা করে এসেছি।
কৃষ্ণনগরে যেখানে সেখানে বিড়ি-সিগারেট-গুটখার গুমটি রয়েছে। প্রকাশ্যেই চলে ধূমপান। কমবয়সি ছেলেরাও নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। শুধু প্রত্যক্ষ নয়, পরোক্ষ ধূমপানেও বিপদ রয়েছে। সবদিক দেখে কৃষ্ণনগরে অভিযান শুরু করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর, পুলিসের যৌথ দল। প্রকাশ্যে ধূমপান রুখতেই এই অভিযান। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্তা বলেন, এখন স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের একাংশও তামাকে আসক্ত হয়ে পড়ছে। দেশে ১০০ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত। চিকিৎসাধীন রোগীর মধ্যে ৪০জন তামাক ব্যবহার জনিত সমস্যা রয়েছে। শহর, শহরতলির স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেপিঠে বিড়ি-সিগারেট-গুটখার দোকান রয়েছে। পয়সা দিলেই মেলে তামাকজাতীয় সব বস্তু। প্রকাশ্যে চলে ধূমপান। নেশার আসর বসে। অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে নেশার বস্তু বিক্রি করলে সাজার নিদান রয়েছে। জরিমানার নিদানও রয়েছে। তামাক ব্যবহারের ফলে মানব শরীরের ক্ষতি হয় না, এমন কোনও অঙ্গের উল্লেখ করা মুশকিল। হৃদরোগের সমস্যা বেড়ে যায়। এদিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে যৌথ দল জানিয়েছে, প্রকাশ্যে ধূমপান করে ধরা পড়লে ২০০টাকা জরিমানা দিতে হবে। জনবহুল স্থানে কোনওভাবেই প্রকাশ্যে ধূমপান করা যাবে না। ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান কারণ ধূমপান। দেশে প্রতি ঘণ্টায় ধূমপান ও তামাক সেবনের কারণে দু’জনের মৃত্যু হয়। প্রতি বছর ভারতে ৮ লক্ষ মানুষের তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবনে মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, ভারতে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২২০০ মানুষ তামাকজাতীয় দ্রব্য সেবনের কারণে মারা যান। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে বহু বিজ্ঞাপন সত্ত্বেও অনেকেই এখনও ধূমপান ছাড়ার ব্যাপারে আগ্রহী নন। রাস্তাঘাটে তাঁদের সিগারেট থেকে আশপাশের মানুষ পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।