বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
নলহাটি-২ ব্লকের সংখ্যাগরিষ্ঠ চাষিই প্রান্তিক। এছাড়া রয়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি মাপের চাষিরাও। আর কিছুদিনের মধ্যেই মাঠ থেকে ধান তোলার কাজ শুরু হবে। সেই ধান সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্য কিনে নেওয়ার জন্য ব্লকে ব্লকে জমির তথ্য সহ কৃষকদের নাম হয়ে নথিভুক্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে। সেইমতো সকাল থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে নাম নথিভুক্ত করাচ্ছেন চাষিরা। যাঁদের অনেকেই বর্ষার ধান তুলে আলু, গম, সর্ষে বা রবিশস্যের চাষ করেন। কিন্তু, রবিশস্য লাগানোর খরচ অনেক। তা জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয় ওইসব চাষিদের। ক্ষুদ্র চাষিদের বক্তব্য, রবিশস্য লাগানোর খরচ জোগানোর মূলত দু’টি উপায়। সমবায় বা ব্যাঙ্ক থেকে কৃষিঋণ নেওয়া অথবা বর্ষার ধান বিক্রি করে রবি চাষ করা। তাই তাঁরা সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করার জন্য নাম ব্লকে নথিভুক্ত করাচ্ছেন।
মহম্মদ সফিউদ্দিন এদিন সকাল ৬টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি বলেন, অফিস খোলার পর আধিকারিক বললেন সার্ভার খারাপ। নথি জমা দেওয়ার পর সিরিয়াল নম্বর উল্লেখ করে কুপন দেওয়া হবে। সেই কাজ শুরু হয়। হঠাৎই এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এসে ওই আধিকারিকের কানে কানে কী সব বললেন। এরপর ওই আধিকারিক জানান, সিরিয়াল নম্বর দেওয়া হবে না। একটি কাগজে আমার নাম ও ফোন নম্বর লিখে দিয়ে দিচ্ছে। সেখানে নেই কোনও সরকারি স্ট্যাম্প। তাঁর দাবি, গতবারও একটা চক্র চলেছিল। এলাকার বহু কৃষক সরকারি মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারেননি। এবারও সেই চক্র সক্রিয় হচ্ছে। আর এক চাষি আলি রেজা বলেন, গতকাল ১৯জনের নাম রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল। এদিন শুরুতেই জানা গেল ২০০জনের নাম নথিভুক্ত হয়ে গিয়েছে। আমরা লাইনে দাঁড়িয়ে নাম লেখাচ্ছি, আর কারা রাতের অন্ধকারে এসে নাম লিখিয়ে যাচ্ছে। এর পিছনে নিশ্চই কোনও অনিয়ম হচ্ছে। তাছাড়া এদিন সিরিয়াল নম্বর দেওয়া হবে না বলছে। কেন এমনটা হবে? এরই প্রতিবাদে চাষিরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। যার জেরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিস। পরে বিডিওর সঙ্গে দেখা করে এব্যাপারে অভিযোগ জানান চাষিরা।
চাষিরা বলেন, একশ্রেণীর আধিকারিকদের জন্য বাধ্য হয়ে সরকারি সহায়ক মূল্যের থেকে অনেক কম দামে খোলা বাজারে নতুন ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা। পরে বিডিও উঠে এসে ওই আধিকারিককে বলার পর স্ট্যাম্প, সিরিয়াল নম্বর সহ কুপন দেওয়া শুরু হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বিডিও হুমায়ুন চৌধুরী বলেন, যেহেতু সব জায়গাতেই একসঙ্গে রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। ফলে, সার্ভার ডাউন হয়ে যাওয়ায় ধীর গতিতে কাজ চলছে। এনিয়ে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছিল। পরে সমস্যার সমাধানে চাষিদের সিরিয়াল নম্বর সহ স্লিপ ইস্যু করা হয়েছে।