বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
খড়্গপুরের অনুষ্ঠান থেকে কাঁথি ফেরার সময় এদিন শুভেন্দুবাবু বেলদার ললাটে আসানসোল থেকে দীঘাগামী একটি সরকারি বাস দাঁড় করিয়ে উঠে পড়েন। এরপর যাত্রীদের সকলে টিকিট কেটেছেন কি না জানতে চান। সকলকে টিকিট কাটতে অনুরোধ করার পাশাপাশি তিনি কন্ডাক্টরের সঙ্গেও কথা বলেন।
এদিন পাট্টা বিলির অনুষ্ঠানে শুভেন্দুবাবু বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ফেব্রুয়ারি মাসে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নেন, আর এদিন তা বস্তবায়িত হয়ে গেল। সারা রাজ্যের সঙ্গে খড়্গপুরের উদ্বাস্তুরাও জমির পাট্টা পেয়ে গেলেন। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হয়ে গিয়েছে। দশকের পর দশক গিয়েছে। লাল, নীল, সবুজ, সাদারা আপনাদের মিছিলে হাঁটিয়েছে। পাট্টা দিতে হবে বলে কমিটি তৈরি হয়েছে। মামলার জন্য চাঁদা তোলা হয়েছে। কিন্তু, বাস্তবে কার্যকর কেউই করেনি। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বাংলার নবরূপকার। তিনি তা করে দেখালেন।
শুভেন্দুবাবু বলেন, রাজ্যজুড়ে যত উদ্বাস্তু কলোনি আছে, সেই সব এলাকার বাসিন্দারা যাতে জমির পাট্টা পান, তার উদ্যোগ নেন মুখ্যমন্ত্রী। কয়েক মাস আগে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে তা কার্যকরী করে দিলেন। এই পাট্টা কোনও সাধারণ পাট্টা নয়। এটা একটা ব্যতিক্রমী পাট্টা। এই পাট্টার সঙ্গে আপনারা জমির মালিকানা স্বত্বও পেলেন। এর ফলে বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে, ব্যাঙ্কে ঋণ নিতে, সরকারি বিভিন্ন আবাস যোজনায় ঘর পেতে আর কোনও বাধা রইল না। আশা করব, আপনারা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন। তাঁর হাত শক্ত করবেন। আর যারা এতদিন আপনাদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে আপনাদের মিছিলে হাঁটিয়েছে, তাদের চিনে নেবেন।
প্রসঙ্গত, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর এবং উদ্বাস্তু, ত্রাণ, পুনর্বাসন দপ্তর এই উদ্বাস্তুদের নিঃশর্ত দলিল ও কৃষিপাট্টা বিতরণের আয়োজন করেছিল। এত কম সময়ের মধ্যে দুই দপ্তর এই ব্যবস্থাকে বাস্তবায়িত করায় শুভেন্দুবাবু তাদেরও এদিন অভিনন্দন জানান। পাশাপাশি পুরসভা তাদের ভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় তাদেরও প্রশংসা করেন।
গত লোকসভা ভোটে খড়্গপুর শহরে দলের ফল খুবই খারাপ হয়। শুভেন্দুবাবু জঙ্গলমহলের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার পর খড়্গপুরে দলকে ঘুরে দাঁড় করাতে উদ্যোগ নেন। এরপর তিনি যেমন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বারবার খড়্গপুর ছুটে আসছেন, তেমনই সরকারি অনুষ্ঠানেও যোগ দিতে আসছেন। এর আগে খড়্গপুর শহর থেকে বিভিন্ন রুটের চারটি সরকারি বাস চালু করেছেন তিনি। এদিন পাট্টা বিলি করছেন। রেলের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে ডিআরএম অফিস অভিযানও করেছেন। তাঁর বারবার শহরে আসা দলকে এখন অনেকটাই চাঙ্গা করেছে।