বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
প্রসঙ্গত, এই স্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র দোলন হালদার এক ধরনের হেলমেট তৈরি করেছে, যেটা না পরলে বাইক স্টার্ট হবে না। সেই স্কুলের আরও দুই ছাত্রের পচনশীল প্লাস্টিক তৈরি করায় খুশি এলাকার বাসিন্দারা। পরপর ছাত্রদের এই কৃতিত্বে শিক্ষক শিক্ষিকারাও খুশি। সীমান্তের কাছে এই স্কুলের কৃতিত্বে গর্ব অনুভব করছে করিমপুরবাসী। পরিবেশ দূষণের কারণে প্লাস্টিক ব্যবহার নিয়ে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। তারমধ্যে পচনশীল প্লাস্টিক তৈরি করল দুই খুদে পড়ুয়া। কয়েকদিন আগে জেলা ছাত্র যুব বিজ্ঞান মেলায় এই গ্রিন প্লাস্টিক তৈরি করে দেখায় অভ্রদীপ ও আরিফ। এই মেলায় সেকেন্ডারি পর্যায়ে জেলার মোট ১২০টি স্কুল অংশ নিয়েছিল। সকলের মধ্যে ওই দুই ছাত্রের তৈরি প্লাস্টিক বিচারকদের বিচারে প্রথম হয়েছে। ওই দুই ছাত্রকে পুরস্কৃত করা হয়। স্কুলের বিজ্ঞানের শিক্ষিকা নন্দিতা সাহার দাবি, এই গ্রিন প্লাস্টিক দিয়ে বানানো ক্যারিব্যাগ উপস্থিত সকলকে দেখানো হয়েছে। এই প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি দ্রব্য পচনশীল বলেই তারা উল্লেখ করেছে।
দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। সেদিকে চিন্তা করেই স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকার সহযোগিতায় প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে সম্পূর্ণ জৈবিক উপাদান দিয়ে এই গ্রিন প্লাস্টিক তৈরি করেছে স্কুলের দুই ছাত্র। স্কুলের প্রধান শিক্ষক পার্থ তেওয়ারি বলেন, এই প্লাস্টিক পচনশীল হওয়ায় মাটিতে ফেলে দিলে মোটামুটি ১৮০ দিনের মধ্যে এটি সম্পূর্ণভাবে মিশে যাবে। ফলে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। বিজ্ঞান শিক্ষিকা নন্দিতা সাহা বলেন, আনুপাতিক হারে ১০ গ্রাম কনফ্লাওয়ার, ৫ এমএল ভিনিগার, ৫ এমএল গ্লিসারিন, ৬০ এমএল জলের মিশ্রণকে ফুটিয়ে দিয়ে এই প্লাস্টিকের মিশ্রণ তৈরি করা হয়েছে। সেই মিশ্রিত দ্রবণ সমান জায়গায় ঢেলে দু’দিন পর তা ব্যবহারের যোগ্য হয়। এভাবে এক কেজি গ্রিন প্লাস্টিক তৈরি করতে খরচ পড়বে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। তবে যদি বেশি পরিমাণে উৎপাদন করা যায়, সেক্ষেত্রে খরচের পরিমাণ অনেক কমে যাবে। ওই শিক্ষিকার দাবি, এই গ্রিন প্লাস্টিক যথেষ্টই শক্ত। যা দিয়ে বর্তমান বাজারে ব্যবহৃত প্লাস্টিক ব্যাগের মতো ব্যবহার করা যাবে। অভ্রদীপ ও আরিফ বলে, বিজ্ঞান সেমিনারে কিছু করতে হবে এবং স্কুলের নাম উজ্জল করতে হবে এই ভাবনা থেকে আমাদের এই পচনশীল প্লাস্টিক তৈরি। এটা ব্যবহার করে ফেলে দিলে সহজেই মাটির সঙ্গে মিশে যাবে। করিমপুর ১ বিডিও অনুপম চক্রবর্তী বলেন, পচনশীল গ্রিন প্লাস্টিক তৈরি করে নজির গড়ল খুদে ছাত্ররা। তাদের এই কৃতিত্বের কথা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে জানানো হবে। তাদের এই সৃষ্টি সাধারণ মানুষের ব্যবহারিক জীবনে যাতে কাজে লাগে সেই চেষ্টা করা হবে।