বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গোপালপুরের সাহাবাড়ির এই মন্দির এলাকায় বিখ্যাত। মন্দির ২৭৫ বছরের প্রাচীন। এর আগেও এই মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। বছর তিনেক আগে এই মন্দিরে চুরি হয়। সেই ঘটনার পর মন্দিরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। পাঁচটি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। দরজায় লাগানো হয় মজবুত তালা। তারপরেও শনিবার রাতে ঘটে চুরির ঘটনা। দুষ্কৃতীরা নিরাপত্তার ঘেরাটোপের মধ্যেও মন্দির থেকে বহু সামগ্রী চুরি করে নিয়ে পালিয়েছে। এদিকে, চুরির ঘটনার পর তদন্তে গিয়ে শান্তিপুর থানার পুলিস ওই মন্দিরের সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে। রবিবার বিকেল পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিস কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। যদিও পুলিসের দাবি, ঘটনার তদন্ত চলছে, দুষ্কৃতী খুব শীঘ্রই ধরা পড়বে।
সাহাবাড়ির পরিবারের প্রধান জহর সাহার বলেন, শনিবার রাতে মন্দিরের পুরোহিত পুজো দেওয়ার পর তালা দিয়ে চলে যান। রবিবার সকালে মন্দিরে কাজ করতে এসে এক মহিলা মন্দিরের তালা খুলতে গিয়ে চুরির ঘটনা বুঝতে পারেন। তিনি দেখেন মন্দিরের তালা ভাঙা। এরপর মন্দিরের পুরোহিত সহ পরিবারের সকলকে খবর দেওয়া হয়। তাঁরা মন্দিরের ভিতরে গিয়ে দেখেন মন্দিরের বিগ্রহ গুলির সমস্ত অলঙ্কার চুরি হয়ে গিয়েছে। বিগ্রহগুলির চুল ও জামা কাপড় এলোমেলো মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। কাঁসার বাসনপত্র লণ্ডভণ্ড অবস্থায়। খোয়া গিয়েছে বিগ্রহের গায়ের সমস্ত সোনা ও রুপোর গয়না। পরে মন্দিরের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানা যায়, শনিবার রাত ২টো থেকে ৪ টের মধ্যে একজন দুষ্কৃতী মুখ ঢেকে মন্দিরে প্রবেশ করে আলো নিভিয়ে দেয়। এরপর টর্চ লাইট জ্বেলে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে অপারেশন চালায়। তারপর চুরি করে ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পরিবারের সদস্যরা মনে করছেন, একজন দুষ্কৃতী ভিতরে একা প্রবেশ করে। তবে বাইরে আরও কয়েকজন অপেক্ষা করছিল। দুষ্কৃতী প্রধান রাস্তা দিয়ে না এসে পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢোকে। কিছুক্ষণ পরে ওই দুষ্কৃতী ফের ফিরে এসে তালা সহ বিভিন্ন জায়গায় লাগা হাতের নিশানাগুলি একটি কাপড় দিয়ে মুছে দিয়ে যায়। পরে পুলিস তদন্তে এসে সম্পূর্ণ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, দুষ্কৃতীরা আগে থেকেই মন্দিরের অবস্থান সম্পর্কে সবকিছু তথ্য সংগ্রহ করেছিল। তাই তার সহজে চুরি করে পালায়। দুষ্কৃতীর মুখ বাধা থাকায় সনাক্তকরণ করতে সমস্যা হচ্ছে তদন্তকারী অফিসারদের। তবে শহরের অন্যান্য প্রান্তে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজগুলি একত্রিত করে দুষ্কৃতীকে শনাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে শান্তিপুর থানার পুলিস।