বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে ওই ব্লকের ঝিল্লি পঞ্চায়েত এলাকার যাদবপুরের কাছে ব্রাহ্মণী নদীর বাঁধ ভেঙে প্রায় ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এছাড়াও পদমকান্দি পঞ্চায়েতের কাদিপুরের কাছে দ্বারকা নদের বাঁধের ফাটল দিয়ে জল ঢুকে দু’টি গ্রাম প্লাবিত হয়। বন্যা পরবর্তীতে ওই দুই এলাকায় প্রশাসনের কর্তারা, জঙ্গিপুরের সংসদ সদস্য খলিলুর রহমান, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডল প্রমুখ এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালেই বন্যাপীড়িত বাসিন্দারা জনপ্রতিনিধিদের সামনে ত্রাণ না পাওয়ার কথা জানান।
এরপর শুক্রবার সকালেও বাসিন্দারা ফের একবার ত্রাণ না পাওয়ায় সরব হয়েছেন। ভুষকুল গ্রামের বাসিন্দা আশরাফুল শেখ বলেন, দু’দিন ধরে গ্রামের স্কুলে ঠাঁই নিয়েছিলাম। কিন্তু, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও ত্রাণ আমাদের দেওয়া হয়নি। টিঠিডাঙা গ্রামের যুবক মিঠুন মণ্ডল বলেন, গ্রামের পাশ দিয়ে প্রশাসনের লোকজন নৌকা করে দেখে গিয়েছেন। ত্রাণ বিলি তো দূরের কথা, আমরা কোন অবস্থায় রয়েছি, সেই খোঁজও নিলেন না ওঁরা।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই এলাকায় বন্যার জল নামতে শুরু করে। শুক্রবার সকালে সমস্ত বন্যাকবলিত গ্রাম থেকে জল নেমে গিয়েছে। যদিও কয়েকটি গ্রামের মাঠের দিকে সামান্য জল জমিতে জমে রয়েছে। কিন্তু গোটা এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বন্যার পরেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ মিলছে না।
এদিকে বন্যার জল নামতেই দেখা দিয়েছে ডায়ারিয়া ও জ্বর। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত শতাধিক বাসিন্দা জ্বর ও ডায়ারিয়ায় ভুগছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে রামপুরহাট হাসপাতালে পাঠানোও হয়েছে। বাকিদের গ্রামের হাতুড়ে চিকিৎসকরা চিকিৎসা করছেন। ঝিল্লি গ্রামের বাসিন্দা সমীর শেখ, মোশারফ হক প্রমুখ বলেন, বন্যার জল নামতেই এলাকায় জ্বর ও ডায়ারিয়া দেখা দিয়েছে। বমির সঙ্গে পাতলা পায়খানা হচ্ছে অনেকের। কিন্তু, যোগাযোগের অভাবের কারণে বাসিন্দারা গ্রামের ডাক্তারের কাছেই চিকিৎসা করতে বাধ্য হচ্ছেন। যত সময় যাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকছে।
যদিও খড়গ্রাম ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, শনিবার থেকেই এলাকায় একটি মেডিকেল টিম যাবে। ওই টিমের সদস্যরা বাসিন্দাদের চিকিৎসা করার সঙ্গে একটি রিপোর্ট তৈরি করে ব্লক প্রশাসনের কাছে পাঠাবেন।