বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিন বাঁকুড়া রামকৃষ্ণ মঠের আশ্রমপাড়া, কেন্দুয়াডিহি এবং কালাপাথর ক্যাম্পাসে দিনটি জাঁকজমকের সঙ্গে পালিত হয়। মঠের পক্ষ থেকে পতাকা উত্তোলন এবং সুসজ্জিত ট্যাবলো বের করা হয়। স্বামীজির জীবন ও দর্শন সম্পর্কে আলোচনা হয়। ওই কর্মসূচিতে বেলুড়মঠের স্বামী অচ্যুতাত্মানন্দ, বাঁকুড়া রামকৃষ্ণ মঠের সম্পাদক স্বামী কৃত্তিবাসানন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিন ভক্তরা মঠের প্রসাদ গ্রহণ করেন। এদিন জয়রামবাটি মাতৃমন্দিরের উদ্যোগে দিনটি আচার মেনে পালিত হয়। এই উপলক্ষে এদিন সকালে প্রভাতফেরি হয়। সেখানে স্থানীয় বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা অংশ নেয়। এছাড়াও এদিন সেখানে দিনভর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
বেলা ১১টা নাগাদ বাঁকুড়া জেলা যুব দপ্তরের সামনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাঁকুড়া শহরেও একটি পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। দিনটি উপলক্ষে বাঁকুড়া শহরে যুব তৃণমূল কর্মীরা বাইক র্যা লি বের করেন। ওই র্যা লিতে যোগ দেওয়া তৃণমূল কর্মীরা হেলমেট না পরে বাইক চালানোয় বিতর্ক দানা বেঁধেছে। যদিও দল ওই ধরনের বাইক র্যা লির অনুমতি দেয়নি বলে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন। অন্যদিকে, এদিন বিষ্ণুপুর শহরের রবীন্দ্রস্ট্যাচু সংলগ্ন এলাকায় একটি সংস্থার পক্ষ থেকে বস্ত্র বিতরণ করা হয়। শহরের একটি বেসরকারি স্কুলের পক্ষ থেকে ট্যাবলো সহ পদযাত্রা বের হয়। সারেঙ্গায় কংগ্রেসের তরফে পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। অন্যদিকে, আমডাঙা যুগাচার্য বিবেকানন্দ সেবা সমিতি এবং বাঁকুড়া শহরের বিবেকানন্দ যুব মহামণ্ডল সহ অন্যান্য সংগঠনের তরফে জেলাজুড়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
পুরুলিয়া শহর সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সাড়ম্বরে দিনটি পালিত হয়। এদিন যুব দপ্তরের উদ্যোগে জেলার মূল অনুষ্ঠানটি হয় পুরুলিয়া শহরের রবীন্দ্রভবনে। পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ ওই অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করে। পুরুলিয়া-১ ব্লকের বিবেক চেতনা ও ছাত্র যুব উৎসবের আয়োজন করা হয়। পুরুলিয়া পুরসভার উদ্যোগেও দিনটি পালিত হয়। রঘুনাথপুর গার্লস হাই স্কুলে পুর ছাত্র-যুব উৎসবের সূচনা হয়। আদ্রায় বিজেপি যুব মোর্চার তরফ থেকেও দিনটি পালন করা হয়।
এদিন কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের উদ্যোগেও দিনটি সাড়ম্বরে পালিত হয়। এদিন সকালে কামারপুকুরে একটি প্রভাতফেরি অনুষ্ঠিত হয়। কামারপুকুর মেলা মাঠে স্বামীজির প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। কামারপুকুর মঠের অধ্যক্ষ স্বামী লোকোত্তরানন্দজি মহারাজ বলেন, এদিন বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং সন্ন্যাসীদের উপস্থিতিতে যুব দিবস পালন করা হয়। এই উপলক্ষে বিশেষ পুজো-পাঠের আয়োজন করা হয়। বহু ভক্ত এদিন মঠে ভিড় জমান। ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। অন্যদিকে, আরামবাগ মহকুমার ৬টি ব্লকের রাজ্যের যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের উদ্যোগে ‘বিবেক চেতনা’ উৎসব পালন করা হয়।