শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগমের সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কিছুটা ... বিশদ
ইচ্ছে ছিল শীতের দুপুরে কচি পাঁঠার মাংস আর মনসাই নদীর বৈরালি মাছ দিয়ে ছেলের সঙ্গে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করবেন। সেজন্য রবিবার সকালে কর্মস্থল শীতলকুচি থেকে আসার পথে বাবা-ছেলে চান্দামারি বাজারে যান। মৃদুল মণ্ডল(২৬)কে সঙ্গে নিয়ে পাঁঠার মাংস ও বৈরালি মাছ কেনেন মদন মণ্ডল (৪৬)। এরপর বাজরের থলে বাইকে ঝুলিয়ে ছেলের বাইকের পিছনে বসে নিশিগঞ্জে নিজেদের বাড়ির দিকে দুজনে রওনা দেন। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু আচমকা রাস্তার উল্টো দিক থেকে আসা বালি-বোঝাই একটি ট্রাক তাদের বাইকে সজোরে ধাক্কা মারে। বাইক থেকে ছিটকে ট্রাকের চাকায় পিষে ঘটনাস্থলেই বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় রাস্তায় একদিকে পরে থাকে বাবা-ছেলের রক্তাক্ত নিথর দেহ, অন্যদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে মাছ ও মাংসের প্যাকেট। দুর্ঘটনার পর ছুটে আসেন আশপাশের লোকজন। খবর যায় পুলিসে। তারা এসে দেহ দুটি উদ্ধার করে কোচবিহারে নিয়ে এসে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বাবা ও ছেলের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ নিশিগঞ্জের সিটকিবাড়ি গ্রাম। আক্ষেপের সুরে গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, বাবা-ছেলের আর একসঙ্গে খাওয়ার ইচ্ছেটা পূরণ হল না। এটাই হয়তো নিয়তির লেখা ছিল। এলাকার বাসিন্দারা দ্রুত গতিতে ট্রাক চলাচল নিয়ন্ত্রণের দাবি তুলেছেন।
সকাল ১০টার পরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার ১ ব্লকের ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওয়ানবসে। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতদের বাড়ি সিটকিবাড়ি গ্রামে। মৃত মদন মণ্ডলের আত্মীয় পরেশ সরকার বলেন, দাদা বনদপ্তরের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। সকালে শীতলকুচি থেকে ডিউটি করে বাড়ি ফিরছিলেন। সঙ্গে তার ছেলেও ছিল। তারা মানসাই নদী পেরিয়ে চান্দামারি বাজারে মাছ-মাংস কিনেছিল। বাইকে চেপে বাড়ি ফেরার সময় একটি বালি-বোঝাই ট্রাক তাদের চাপা দেয়। তাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দাদা ও ভাইপোর।
এবিষয়ে কোচবিহারের পুলিস সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, ছেলের বাইকে করে বাজার করে বাবা ছেলে বাড়ি ফিরছিলেন। সেসময় উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাদের পিষে দেয়। দুজনের মাথা থেতলে যায়। একজনের মাথায় হেলমেট ছিল। রাস্তাটিও সংকীর্ণ ছিল। ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র।