পারিবারিক ধর্মাচরণে মানসিক শান্তি। পেশাদার আইনজীবী, বাস্তুবিদদের অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
এদিন সকালে রামঠেঙ্গার একটি ভুট্টাখেতে জোড়া বাইসন দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় ঘোকসাডাঙা থানায় এবং মাথাভাঙা বনদপ্তরে। বনকর্মীরা পৌঁছনোর পর ভুট্টাখেতের গভীরে ঢুকে পড়ে বাইসনগুলি। ট্রাক্টর দিয়ে ভুট্টাখেতে তল্লাশি চালিয়ে সেগুলিকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় কাবু করা সম্ভব হয়। দুপুরে নিউ চ্যাংরাবান্ধা এলাকায় বাইসন দু’টিকে ধরতে সক্ষম হন বনকর্মীরা।
মাথাভাঙা-২ ব্লকের ফুলবাড়ি, বড়শৌলমারি, রুইডাঙা, লতাপাতা, ঘোকসাডাঙা এলাকায় প্রতিবছর বাইসন ঢুকে পড়ে। এর আগে একাধিক ব্যক্তি বাইসনের আক্রমণে জখম হয়েছিলেন। কয়েকদিন আগে জোড়পাটকি এলাকায় বাইসনের আক্রমণে গুরুতর জখম হন চারজন। তাঁরা এখনও চিকিৎসাধীন। এদিন কেউ জখম না হলেও ভুট্টাখেতে ট্রাক্টর দিয়ে তল্লাশি চালানোয় প্রচুর গাছ নষ্ট হয়েছে।
বনদপ্তরের মাথাভাঙার রেঞ্জার সুদীপ দাস বলেন, প্রায় পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় দু’টি বাইসনকে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করেছি। দু’টি বাইসনকেই পাতলাখাওয়া জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ঘুমপাড়ানি গুলি করার জন্য ভুট্টাখেতে ট্রাক্টর নিয়ে ঢুকে পড়ায় কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। নিয়ম মেনে ওই চাষিরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। আমরা তাঁদের আবেদন করতে বলেছি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘন ভুট্টাখেত থেকে পার্শ্ববর্তী এলাকার বাড়িতে বাইসন ঢুকে পড়লে সমস্যা হতো। বনকর্মীদের তৎপরতায় ভুট্টাখেত থেকে বাইসনগুলিকে কাবু করা সম্ভব হল।
নিজস্ব চিত্র