সংবাদদাতা, ইসলামপুর ও গঙ্গারামপুর: ইসলামপুর স্টেডিয়ামের জনসভা থেকে নাম না করে রায়গঞ্জ কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী আলি ইমরান রমজকে (ভিক্টর) নিশানা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব তৃণমূলের হাতেই থাকবে বলে জানালেন তিনি। মমতার কথায়, কংগ্রেস থেকে যিনি দাঁড়িয়েছেন, তিনি আগে ফরওয়ার্ড ব্লক করতেন। হেরে গিয়ে কংগ্রেসে নাম লিখিয়েছেন। তার দাঁড়ানোর উদ্দেশ্য একটাই, তৃণমূলের জয় রুখে দেওয়া। ভোট কাটলে বিজেপি তাকে অনেক কিছু দেবে। জেতার জন্য নয়, কংগ্রেস প্রার্থীর আসল চেষ্টা মুসলিম ভোট কেটে তৃণমূলকে হারিয়ে দেওয়া। তৃণমূল নেত্রী বলেন, ইন্ডিয়া জোট তৈরি করেছি আমি। কিন্তু বাংলায় ইন্ডিয়া জোটের অস্তিত্বই নেই। বাংলায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছে একা তৃণমূল। মমতার তোপ, এরাজ্যে বিজেপির হয়েই কাজ করছে সিপিএম ও কংগ্রেস।
এদিনের সভামঞ্চে রণংদেহী মেজাজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বিজেপির বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিয়েছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিজেপির এত বড় সাহস! বলছে তিন মাস পর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবে? আমি বলছি, সাহস থাকলে করে দেখাক। উপস্থিত মা, বোনদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জীবনভর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন। এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওয়াদা (প্রতিজ্ঞা)। মমতা বলেন, জলস্বপ্ন প্রকল্প করেছি। রাজ্য জমি দেয়, মেইনটেনেন্স করে, রাজ্য অর্ধেক টাকা দেয়। সবমিলিয়ে আমরা ৭৫ শতাংশ আর ওরা (কেন্দ্র) ২৫ শতাংশ। আমাদের টাকা নিয়ে মাছের তেলে মাছ ভাজে। বিজেপি জুমলা, মিথ্যাবাদীদের সরকার। হরিরামপুরের সভামঞ্চ থেকে আদিবাসী মহিলার সমস্যার কথা শুনে দলীয় নেতৃত্বকে সমাধান করে দেওয়ার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বালুরঘাট কেন্দ্রের হরিরামপুর হাসপাতাল সংলগ্ন মাঠে বিপ্লব মিত্রের হয়ে নির্বাচনী সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সভা মঞ্চে উঠেই আদিবাসী মহিলাদের বুকে জড়িয়ে ধরেন।  হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে সাহায্য প্রার্থনা করেন হরিরামপুর সৈয়দপুরের শুকুরমনি। বিশেষভাবে সক্ষম শুকুরমনি দীর্ঘদিন প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। নির্বাচনের পর জেলা নেতৃত্বকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়ে যান মমতা।