নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
সিকিমের হ্রদ বিপর্যয়ের পর তিস্তা নদীর দু’ধারে ২৯টি স্পর্শকাতর জায়গা চিহ্নিত হয়েছে। যেখানে এবার বর্ষার সময় জলস্তর বাড়লে লোকালয়ে নদীর জল ঢুকে আসার সম্ভাবনা ছিল। তারমধ্যে ২৪টি জায়গায় সেচদপ্তর পরিকাঠামোগত কাজ শুরু করে দিয়েছে। বাকি পাঁচটি জায়গায় কাজের জন্য নির্বাচন কমিশনের অনুমতি প্রয়োজন রয়েছে। যারমধ্যে অন্যতম ক্রান্তি ব্লকের চ্যাংমারি, প্রেমগছ এলাকায় নদী বাঁধের উচ্চতা বৃদ্ধির কাজটি।
এছাড়াও বর্ষার আগে ক্ষতিগ্রস্ত ত্রাণসামগ্রী মজুত রাখা, সেচদপ্তরের কন্ট্রোল রুম খোলা, আবহাওয়ার সতর্কবার্তা যথাসময়ে পাওয়ার মতো নানা বিষয় নিয়ে এখন থেকেই বিভাগীয় প্রস্তুতি সারতে চাইছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসনিক আধিকারিকদের বক্তব্য, সম্প্রতি নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় ভয়াবহ ঝড় বয়ে গিয়েছে। তার ফলে শুধু বর্ষা নয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবছর বর্ষার মরশুমে ফুলেফেঁপে ওঠে তিস্তা, করলা সহ বিভিন্ন নদী। ঘনঘন জলস্তর বাড়তে থাকে ব্যারেজ ও পাহাড়ি নদীগুলিতেও। তারজন্য এদিন জেলার সব বিডিও’কে এখন থেকেই পরিস্থিতি মোকাবিলার বিষয়টি বলা হয়েছে।
সাম্প্রতিক অতীতে দেখা দিয়েছে, বর্ষার সময় হয়তো সমতলে বৃষ্টি না হলেও, জেলা লাগোয়া পাহাড়ে ফুলেফেঁপে ওঠে নদীগুলি। এজন্য জেলার বিভিন্ন জায়গায় নদীর জল ঢুকে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তারজন্যও আশপাশের জেলা থেকে বৃষ্টিপাতের ‘রিয়েল টাইম’ পরিসংখ্যান পাওয়ার চেষ্টা শুরু করেছে প্রশাসন। কারণ ওই পরিসংখ্যান পেলে বন্যাপ্রবণ এলাকা থেকে দুর্গত মানুষজনকে সরিয়ে নিতে অনেকটা সুবিধা পাওয়া যায়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও কমে যায়।
বৈঠক শেষে জেলাশাসক শমা পরভীন বলেন, বর্ষার জন্য আমরা আগেভাগে নানা ব্যবস্থা নিচ্ছি। গতবছর সিকিমের হ্রদ বিপর্যয়ের পর তিস্তা নদীর দু’ধারে ২৯টি স্পর্শকাতর জায়গা চিহ্নিত হয়েছে। তার মধ্যে ২৪টি জায়গায় সেচদপ্তর পরিকাঠামোগত কাজ শুরু করে দিয়েছে। বাকি পাঁচটি জায়গায় কাজের জন্য নির্বাচন কমিশনের অনুমতি প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি জানান।